Home Second Lead সৈয়দ নজরুল সেতুতে পাল্টে গেল দক্ষিণাঞ্চলের চিত্র

সৈয়দ নজরুল সেতুতে পাল্টে গেল দক্ষিণাঞ্চলের চিত্র

  রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী থেকে: কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী পয়েন্টে আন্ধারমানিক নদীর উপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু পাল্টে দিয়েছে এলাকার যোগাযোগের চিত্র। সেতুটি নির্মানের ফলে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দৃষ্টি নন্দন বিকল্প সড়ক যোগাযোগের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
১৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি স্প্যানের ওপর ৬৬৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯ দশমিক আট মিটার প্রস্থ সেতুটি নির্মান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
আন্ধারমানিক নদী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলো উপজেলার বালিয়াতলী, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের দেড় লাখ মানুষকে। গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকার মান উন্নয়নে ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি নির্মানের ফলে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষন সংরক্ষিত গঙ্গামতি বনাঞ্চল ঘুরে কুয়াকাটায় যাওয়ার বিকল্প পথ তৈরী হয়েছে। গত বছর নভেম্বরে নির্মান কাজ শেষে পরীক্ষমুলক যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সেতুটি। চলতি মাসের যে কোন দিন সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুটি নির্মানে আনন্দিত এলাকার সাধারন মানুষ।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী  মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান,  কলাপাড়া আন্ধারমানিকনদীর উপরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাজ ইতিমধ্যে শেষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সামারি জমা দিয়েছি এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি। ফেব্রুয়ারির ভিতরে এই ব্রিজ উদ্বোধন  হবে। উদ্বোধনের আগেই ব্রিজটি আমরা চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছি, জনকল্যাণ চিন্তা করে। ধানের সিজনে কলপাড়ার ওইপাশে যে ৫টি ইউনিয়ন  আছে  এবং ওই ইউনিয়ন প্রচুর ধান সরাসরি ট্রাকে লোড দিয়ে চলে আসে।  ওইপাশে ১০০ টাকা  করে মণে বেশি পেয়েছে।  তারা যেখানে ১০০০ টাকা মণ থাকলেও ওইখানে ৮০০ টাকা বিক্রি করে।
 আলীপুর থেকে যে রোডটি হচ্ছে,  মার্চ এপ্রিল এর মধ্যে ওইটাও শেষ হয়ে যাবে।  তখন যোগাযোগ ব্যাবস্থা অধিকতর সহজ হয়ে যাবে।
 পটুয়াখালী চেম্বার অব  কমার্স এর সভাপতি  মো: গিয়াস উদ্দিন, জানান  কলাপাড়া নজরুল সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে  এবং ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে এই ব্রিজ  উদ্বোধন করা  হবে, এই ব্রিজ দিয়ে যাদের সবচেয়ে সুবিধা ৫টি ইউনিয়নের বিকল্প সড়ক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং সামনে আমাদের পায়রাপোর্ট সামুদ্রিক বন্দর দিয়ে ঢাকার পথে মালামাল পরিবহনকে সহজ করবে।
এলাকার পথচারী  জামাল উদ্দিন জানান, আগে তো আমরা খেয়ায় পারাপার হতাম, করতাম, এখন ব্রীজ হয়ে গেছে।গের মতো ভোগান্তি নেই।  আমরা এখন যেকোনো গাড়ীতে রুগী নিয়ে হসপিটালে যেতে পারি। এই এলাকায় ধানের দাম কম ছিলো। ব্রীজটার জন্য এখন এই ধান আমরা সোজা শহরে নিয়ে যেতে পারছি এবং ধানেরও বাড়তি মূল্য পাচ্ছি।