উজ্জ্বল রায, নড়াইল থেকে : নড়াইলে ভাষা দিবস উপলক্ষে ৩ কিলোমিটার পথচিত্র অংকন করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ভাষা দিবস উপলক্ষে নড়াইল শহরে ব্যতিক্রমী তিন কিলোমিটার পথচিত্র অংকন করা হয়েছে। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় শহরের চৌরাস্তায় এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে শহরের কুরিরডোব মাঠ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পথচিত্র অংকন করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত তিন শতাধিক ভলান্টিয়ার ও চিত্রশিল্পী ১১টি সেক্টরে বিভক্ত হয়ে এই পথচিত্র অংকনের কাজ শেষ করেন।
এসময় পথচিত্র বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুণ্ডু, নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার বাবা গোলাম মর্তুজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, পথচিত্র বাস্তবায়ন কমিটি, নড়াইলের উদ্যোগে এবং জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুরিরডোব মাঠ পর্যন্ত এ পথচিত্র অংকন করা হয়।
পথচিত্রে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক ঘটনা, সরকারের বিভিন্নউন্নয়ন যেমন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্ণফুলি ট্যানেল, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বিভিন্ন বর্ণমালা, স্বাধীনতার বিভিন্ন স্লোগান, গ্রাম বাংলার চিত্র, আল্পনা ইত্যাদি স্থান পেয়েছে।
এজন্য প্রায় ৪ হাজার লিটার রং-এর প্রয়োজন হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা। এই রং-এর ব্যবস্থা করেছেন নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এস এম সুলতানের শিষ্য শিল্পী সমীর কুমার মজুমদার এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন, আমরা শিল্পীরা মোট ১১টা সেক্টরে ভাগ হয়ে ভাষা আন্দেলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর জীবনীসহ সরকারের উন্নয়ন রং তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলারচেষ্টা করেছি।
পথচিত্র বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের শহীদদের স্মরণে ব্যতিক্রমী এই পথচিত্র অংকনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সন্তানেরা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে আরও ভালো জানতে পারবে।