নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম থেকে: ফুলবাড়ী উপজেলার দাশিয়ারছড়ার বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী সোমবার পালন করলেন
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
সকাল সাড়ে ৮টায় দাশিয়ারছড়া ছিটমহলের ডি-সেট সেন্টার সংলগ্ন একমাত্র শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার আয়োজনে ছিটমহলের শিশু কিশোর ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এতে অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভাষাশহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল হয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদরাসায় পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম মিয়া, সহকারী শিক্ষক নাসিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেবের আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন প্রমুখ।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম মিয়া বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি কেবল শোক পালনের দিন নয়। এ দিবসটি আমাদের প্রতিবাদী হতে শেখায়। একুশের চেতনা সমাজ থেকে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দেয়।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন, তাদের সে সময়ের সেই আন্দোলনের কারণেই আজ আমরা বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে পারছি। তাদের এ ঋণ আমরা কোনোদিনও শোধ করতে পারবো না।
দাশিয়ারছড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ১৬২টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে আয়তন ও লোকসংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড়। ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী, দাশিয়ারছড়ার আয়তন ১ হাজার ৬৪৩ একর।
২০১৬ সাল থেকে ডি-সেট সেন্টার সংলগ্ন একমাত্র শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতিবার শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন দাশিয়ারছড়াবাসী। এর আগে সেখানে শহীদ মিনার ছিল না।