মহাদেবপুরে হাসান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, আটক ২
সোহেল রানা, মহাদেবপুর (নওগাঁ)থেকে: মহাদেবপুরে চাঞ্চল্যকর হাসান আলী (১৭) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যা মামলা দায়েরের মাত্র একদিনের মধ্যেই উদঘাটন করে দুজনকে আটক করে থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন, উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের সফাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে এখলাছ হোসেন (২১) ও হাতুড় ইউনিয়নের বনগ্রাম হটাৎপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে ময়নুল ইসলাম (৩০)। মঙ্গলবার বিকেলে মহাদেবপুর থানা পুলিশের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
মামলার বাদি উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের খোর্দ্দকালনা গ্রামের মৃত জসীম উদ্দিনের ছেলে আহাদ আলী জানান, তার ছেলে হাসান আলী (১৭) গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় তার অটোচার্জার ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে হাতুড় ইউনিয়নের গোফানগর শাবইল মোড় এলাকার একটি ধান ক্ষেতর মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়। আহাদ আলী রোববার এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে এসআই ছাইফুল ইসলামকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় , নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার তত্ত্বাবধানে মহাদেবপুর থানার একটি তদন্ত দল মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত দল জানতে পারে যে, রোববার দুপুরে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের ছাতুনতলী হাটে রক্তমাখা একটি চার্জারভ্যান দেখা গেছে। তদন্ত দল সেখানে উপস্থিত হয়ে রক্তমাখা চার্জারভ্যান জব্দ করেন ও এর চালক ময়নুল ইসলামকে আটক করেন।
পুলিশকে সে জানায়, এখলাছ হোসেন তাকে ভ্যানটি বিক্রি করার জন্য দিয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার বিকেলে মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের মদনচক গ্রাম থেকে এখলাছকে আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এখলাছ চার্জার ভ্যান চালক হাসান আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। সে জানায়, তার একজন সহযোগীসহ চার্জার ভ্যানটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই ভাড়া নিয়ে সাবইল মোড়ে নির্জন এলাকায় গিয়ে হাসান আলীকে পিছন থেকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। তার মৃতদেহ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট আসামীরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।