বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ লেগে যাওয়ায় চড় চড় করে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে সোনার দাম। বৃহস্পতিবার একলাফে বেড়ে গেছে প্রায় দু’ শতাংশ। এক বছরে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
আউন্স প্রতি দাম ১.৯৩৯.৯৭ মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে আউন্স প্রতি দাম ছিল ১৯৪৮.৭৭ মার্কিন ডলার। দাম বাড়ছে ফিউচার গোল্ডেরও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিউচার গোল্ডের দাম আউন্স প্রতি বেড়েছে ১.৮%। বর্তমান দাম ১৯৪৩.৯০ মার্কিন ডলার।যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই সোনার দামে এত বড় পরিবর্তন আসার প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বের সোনা ব্যবসায়। ঢাকার বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্ব বাজারে সোনার দামে কেমন প্রভাব ফেলবে ঢাকার বাজারে তা নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ী মহল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ৷ ফলে সুরক্ষিত ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে সোনার দিকেই তাঁরা এবার বেশি ঝুঁকতে চলেছে ৷ এর জেরে দাম বাড়তি বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, সোনা এমন একটি বিনিয়োগ মাধ্যম যাকে অনিশ্চিত সময়ে নিরাপদ হিসেবে মনে করা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞও এই আশংকা করছেন যে সোনা নিজের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছাতে পারে এই পর্যায়ে৷
উল্লেখ্য যুদ্ধের আবহ তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাফিয়ে বেড়েছে স্পট গোল্ড এর দাম৷ স্পট গোল্ড সেই ধরনের সোনা যে সোনা তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে লেনদেন করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি এই স্পট গোল্ড বা তাৎক্ষণিক সোনা কেনেন– তবে আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে দাম দিতে হবে এবং তার ভিত্তিতে আপনি সঙ্গে সঙ্গে সোনা হাতে পাবেন। বর্তমানে এই সোনার একটি বিরাট বাজার রয়েছে৷
রাশিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সোনা উৎপাদক দেশ।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি শুধুমাত্র সোনার উপর নয়, জ্বালানী তেলের বাজারেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। রাশিয়া তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে অনেক দেশ। কারণ, উৎপাদন ঠেলে দিলে তেলের সরবরাহ ডুবে যাবে। তাহলে দাম বাড়তেই থাকবে।