Home কৃষি যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের কৃষিতে

যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের কৃষিতে

বক্তব্য রাখছেন বিএডিসি চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ
বিএডিসি চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহর আশঙ্কা
মোঃ আব্দুল্লাহ হক, চুয়াডাঙ্গা থেকে: ‘ রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রাসায়নিক সারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে। এতে বাংলাদেশের কৃষিতে বড় ধরণের প্রভাব পড়তে পারে।’
এই আশঙ্কার কথা জানালেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন- বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ। তিনি সোমবার
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের নুরনগর এ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন- বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালকের নতুন অফিস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন প্রধান অতিথি।
 খামার চত্বরে ৬৩ লাখ ৭৬০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দোতলা এই ভবন ফিতা কেটে উদ্বোধন
 শেষে বিএডিসি চেয়ারম্যান খুলনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিএডিসি চেয়ারম্যান বাংলাদেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে বিএডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি এসময় বলেন,‘ রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রাসায়নিক সারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে। এতে বাংলাদেশের কৃষিতে বড় ধরণের প্রভাব পড়তে পারে।’
উদ্বোধন শেষে ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং ভবনের সুদৃশ্য সভাকক্ষে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহন করেন।
এরআগে প্রধান অতিথি নুরনগর খামারে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় একটি নারিকেল গাছের গাছের চারা রোপন করেন । ভবন উদ্বোধনকালে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা এবাদত হোসেন।
চুয়াডাঙ্গার নূরনগর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে যুগ্ম পরিচালক সেলিম হায়দার বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র চুয়াডাঙ্গায়। ১২ হাজার ৫০০ মে: টন বীজ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি গোডাউনে আছে। ১২ হাজার চাষী আছে। ৮ হাজার ৫০০ মে: টন বীজ উৎপাদিত হয়। ৩ হাজার ৮০০ মে: টন আপদকালিন মজুদ থাকে। ১ হাজার ৭০০ মে: টন আলুবীজ উৎপাদিত হয়। ২ হাজার মে: টন সার রাখার জন্য গুদামের কাজ এগিয়ে চলেছে। লোকবল সমস্যা, ড্রাইভার সমস্যা ও গুদামগুলো পুরাতন হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করা দরকার।
মতবিনিময় সভায় বিএডিসি চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিজীবীদের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতেন। দেশে ৭৮৬ কোটি টাকা ছিলো প্রথম বাজেট। এরমধ্যে ১০১ কোটি টাকা কৃষির জন্য বরাদ্দ ছিলো। বিএডিসির মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা না করলে অগ্রগতি হতো না। বিএডিসি কৃষি আধুনিক করার জন্য ৩টি বিষয় কাজ করে। এগুলো হলো, বীজ, সার ও সেচ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চললে সারের দাম বাড়বে। ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য কৃষি থেকে আসে। আমাদের সভ্যতা দেয় কৃষি। ঘরবাড়ি বানায় কৃষি।