চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বদিউজ্জামান রাজাবাবু : শিবগঞ্জে পদ্মা নদীর চর থেকে অবৈধভাবে বালি ও মাটি উত্তোলনের অভিযোগে জিয়াউর রহমান (৪৭) নামে একজনকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দুটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান সদর উপজেলার কালিনগর গ্রামের মৃত নাইমুল হকের ছেলে । বুধবার ১৬ মার্চ বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল-রাব্বি।
জানা গেছে, পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরে খননযন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন করছিলেন সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর হাট এলাকার জিয়ারুল ওরফে জিয়া মেকার ও আবদুল মালেক। সেই মাটি বহনে ব্যবহার করা হচ্ছিলো ৩০-৩২টি ট্রাক্টর। পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে নির্মাণ করা স্পার বাঁধের উপর দিয়ে বহন করা হচ্ছিল এসব বালি-মাটি। এতে ঝুঁকিতে পড়ে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তীররক্ষা বাঁধটি।
বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাটি-বালি কাটার কাজে ব্যবহৃত দুটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়। আটক করা হয় জিয়াউর রহমানকে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদলতে হাজির করা হলে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।