মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে সোহেল রানা: দেশের অন্যতম ধান উৎপাদনকারী মহাদেবপুর উপজেলার কৃষকদের মাঝে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভুট্টা চাষ। চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ বোরো ধানের পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, কমসেচে বেশি ফসল উৎপাদন ও ধানের চেয়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন তারা।
বরেন্দ্র অঞ্চলে ক্রমাগত ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিমাণ কমতে থাকায় অল্প পানি দিয়ে চাষাবাদ করা যায়, এমন ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।
ভুট্টা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিগন্তজুড়ে ডানা মেলেছে ভুট্টাগাছ। বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২০২২ রবি মৌসুমে ১৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে আবাদ হয়েছে ২৮০ হেক্টর। এ পরিমাণ জমি থেকে তিন হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সংশ্লিষ্টরা। প্রতি হেক্টর চাষে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা, ১৩ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। ভুট্টা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও সার সরবরাহ করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলার দোহালী গ্রামের বিলাশ চন্দ্র মন্ডল, এনায়েতপুর গ্রামের খাদেমুল ইসলামসহ ২০-২৫ জন চাষি বলেন, ‘এনকে-৪০, ৯৭১৬, সুপার সাইন ও বিপ্লব জাতের ভুট্টা চাষ হয়েছে। সেচ খরচ খুবই কম, দুই-একবার সেচ দিয়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। আলু তুলে জমিতে ভুট্টা লাগালে খুব তাড়াতাড়ি হয়। বোরো ধান চাষে ১২০ দিন পর্যন্ত নিবিড় পরিচর্যা করতে হয়। কিন্তু ভুট্টা চাষে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না। বর্তমান বাজারে দামও ভালো রয়েছে। এবারও অধিক লাভের আশা করছেন কৃষকরা।’
মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ‘চাষিদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।’#