Home সারাদেশ মামলার খরচ জোগাড় করতে আবার ডাকাতি

মামলার খরচ জোগাড় করতে আবার ডাকাতি

নরসিংদী

নরসিংদী থেকে সাইফুল ইসলাম রুদ্র: ডাকাতি করে  গ্রেপ্তার হয়ে যেতে হয় জেলে। তারপর মোটা অংকের টাকা খরচ করে নিতে হয়  জামিন। সেই টাকা জোগাড় করতে আবারও করতে হয়েছে ডাকাতি। এমন তথ্য দিয়েছে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামী ইয়াকুব।

১৫ দিন আগে জামিনে বের হয়ে  সোমবার ভোরে নরসিংদী শহরের আরশীনগর রেল ক্রসিংএলাকায় ডাকাতি করার পূর্ব মুহুর্তে ডিবি পুলিশের হাতে আবারও গ্রেপ্তার হয়েছে ইয়াকুব ও তার তিন সহযোগী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদীর পলাশ থানার মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে ইয়াকুব (৩৫), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার উত্তর হাসা এলাকার হেদু মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৩২), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার রহিপাগারিয়া এলাকার শাহিন মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৫) ও ভোলা জেলার লালমোহন থানার দক্ষিন আড়ালিয়া গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে আরিফ (২২)।

গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় গ্রেপ্তারকৃত ইয়াকুবের। জেলখাটার পর কেন বারবার ডাকাতি করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াকুব জানায়, গ্রেফতারের পর আদালতের খরচ, পারিবারিক খরচ ও জামিনের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মতো ঋণ করতে হয় তার। সেজন্যই আবারও সদস্য সংগ্রহ করে ডাকাতি শুরু করে ইয়াকুব। ১৫ দিন পূর্বে ডাকাতি মামলার জামিন নিতে জনৈক আইনজীবীকে লক্ষাধিক টাকার উপরে খরচ দিতে হয়েছে বলেও জানায় সে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার জানান, রাত্রীকালিন টহল ডিউটির সময় সন্দেহজনক একটি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। এসময় পিকআপ ভ্যানটি তল্লাশী করে ডাকাতির সরঞ্জাম তালা কাটার মেশিন, চাপাতি ও লোহার রডসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইয়াকুব নামে একজনের বিরদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। সে জামিনে বের হয়ে বারবার ডাকাতি করে থাকে।
গ্রেপ্তারের ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।