বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকাদানের বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নোয়াখালী-২ আসনের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির পূর্ব হতেই আমরা টিকা সংগ্রহ ও টিকা প্রদানের বিষয়ে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে বিনামূল্যে কোভিড টিকাদানের কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়ার শুরু থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
টিকার মূল্য সংক্রান্ত ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন (আলোচনা) করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।