Home সারাদেশ মাধবপুরে বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সামগ্রী তৈরি

মাধবপুরে বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সামগ্রী তৈরি

মাধবপুর ( হবিগঞ্জ ) থেকে মাসুদ লস্কর: মাধবপুরে বিভিন্ন বেকারিতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের খাবার সামগ্রী।
জানা যায়, বিএসটিআই-এর অনুমোদন হীন এ সব বেকারিতে কেক, বন, ডেনিশ, পেটিস, টুস, বিস্কুট, চানাচুরসহ বিভিন্ন রকমের খাবার সামগ্রী তৈরি হয়।  খাদ্যের প্যাকেটে নেই উৎপাদনের তারিখ। নিম্নমানের তেল, পোড়া তেল, ঘি এর পরিবর্তে ডালডা, অনুমোদন হীন ও কাপড়ে ব্যবহৃত রঙ ব্যবহার করা হয় এ সব খাবারে। ডালডা, চিনি,ও নিম্নমানের  পাম ওয়েল  ব্লেন্ডিং করে তৈরি হয় বাটার।
বিএসটিআই-এর অনুমোদন হীন এ সব পন্যের ভোক্তা সাধারণ জনগণ বিশেষত এলাকার চা স্টলগুলো এসব বেকারি পণ্যের প্রধান খদ্দের।
সরজমিনে এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উৎপাদিত পন্যসামগ্রী সাদা পলিব্যাগে মোড়কজাত করে। তাতে উৎপাদিত প্রতিষ্ঠানের নাম  থাকলেও নেই উৎপাদনের তারিখ ।  দিনশেষে অবিক্রিত খাবার সামগ্রী ফেরতযোগ্য নয় বলে দোকানিরা বাসি খাবারের সাথে নতুন খাবার  ক্রেতাদের দিয়ে থাকে।  ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ভোক্তা সাধারণ।
মনতলা তেমুনিয়াস্হ ভৈরব বেকারির হকার মামুন জানান, বেকারি থেকে নির্ধারিত রেটে কিনে চা স্টলে বিক্রি করা হয় এবং অবিক্রিত ফেরত নেওয়া হয় না।
উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ লেখা নাই কেন জানার জন্য ভৈরব বেকারির মালিক বক্করের সাথে কথা বললে তিনি  বলেন , তারিখ না দিয়ে ভুল করছি। তাছাড়া পরিবেশ সনদ ও বিএসটিআই  অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন অনেক টাকা খরচ করে পরিবেশ সনদ আনছি, কিন্তু বিএসটিআই  অনুমোদন অসম্ভব।
বিএসটিআই  অনুমোদনহীন খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রয় সম্পর্কে জানতে মাধবপুর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা বারবার সতর্ক করে আসছি।  ইউএনও’র সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে  মাধবপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা ইশতিয়াক মামুন বলেন অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে স্বাস্হ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়, তালিকা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা জরুরি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর হবিগঞ্জ এর পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, সঠিক তথ্য পাঠিয়ে দিন, ব্যবস্থা নিব।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, শীঘ্রই এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।