Home আন্তর্জাতিক পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ

শাহবাজ শরীফ

 তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যদের ওয়াকআউট, একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ঘোষণা

 

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন)-এর সভাপতি শাহবাজ শরীফ। সদ্য বিদায়ী ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যদের ওয়াকআউট, একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর তিনি নির্বাচিত হলেন।

আজ সোমবারই প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তার শপথ অনুষ্ঠান। এ জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দু’এক ঘন্টার মধ্যে তাকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তবে পার্লামেন্টে শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময় অধিবেশন বর্জন করে ইমরান খানের পিটিআই। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এর আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় পার্লামেন্ট অধিবেশন। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সম্মিলিত বিরোধী দলীয় প্রার্থী পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) সভাপতি শাহবাজ শরীফ।

এর আগে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে উপস্থিত হন ইমরান খান। এ সময় তার পিটিআই দলীয় সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন পার্লামেন্টের ভিতরেই। পরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগেই পার্লামেন্ট থেকে ওয়াকআউট করেন পিটিআইয়ের সদস্যরা ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। একযোগে পদত্যাগ করার ঘোষণাও দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি।

পিটিআই থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেয়া প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ঘোষণা দেন যে, পিটিআইয়ের এমপিরা পার্লামেন্ট থেকে একযোগে পদত্যাগ করবেন। তা সত্ত্বেও পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির সভাপতিত্বে অধিবেশন চলতে থাকে। এ সময় তিনি ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট না দেয়ার বিষয়ে এবং তার সম্পর্কের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, এর আগে পার্লামেন্টের দেয়া আদেশকে আদালত অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান দেখাতে বাধ্য। কিন্তু আমার রুলিং সম্পর্কে আপনাদের সামনে কথা বলতে চাই। একজন দায়িত্বশীল পাকিস্তানি এবং পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে তিনি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানান। এরপরই ডেপুটি স্পিকার সহ পিটিআইয়ের সদস্যরা একযোগে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। ফলে ভারপ্রাপ্ত স্পিকার পিএমএলএনের নেতা ও সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে পার্লামেন্ট চলতে থাকে।