মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে ইমাম হোসেন: মীরসরাই উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়েছে তরমুজের। উপযুক্ত আবহাওয়া ও বালি মিশ্রিত মাটি হওয়ায় উপজেলার ইছাখালী, মিঠানালা ও কাটাছরা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের প্রায় ২শত একর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে ।
ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তরমুজ চাষিরা। কেউ ক্ষেত থেকেই পাইকারী দরে তরমুজ বিক্রি করছেন আবার কেউবা ট্রাক ভর্তি করে চট্টগ্রাম ফলমন্ডিতে নিয়ে ভালো দামে বিক্রি করছেন। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন তারা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হওয়ায় ফলন নিয়ে সন্তুষ্ট কৃষি বিভাগ। উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নে সুবর্ণচর থেকে আসা কৃষক সিরাজুল ইসলামসহ কিছু কৃষক এই প্রথম ১৮৮ একর জমিতে তরমুজের আবাদ শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, মীরসরাইয়ের মাটি তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা করলে তরমুজ চাষ করে সফল হওয়া সম্ভব। আমন কাটার পর পরই এ বিলে খারিফ ফসল চাষ হতো। এ প্রথম এই ভূমিতে তরমুজের চাষ শুরু হয়। এছাড়াও উপজেলার সাহেরখালী, মঘাদিয়া ও হিঙ্গুলী ইউনিয়নে আট একর পরিমাণ জমিতে ৬ জন কৃষক তরমুজের আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আবাদে ঝুঁকছে এখানকার কৃষকরা।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। এই ফল ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মীরসরাইয়ের তরমুজ চাষীদের ভালো ফলনে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করেছি। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও ভালো দাম পাওয়ায় তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে এখানকার অনেক কৃষক।
ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন, ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রত্যেক বছর খালি পড়ে থাকতো। এ বছর সুবর্ণচর এলাকার কয়েকজন উদ্যোক্তা সেই জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মীরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় তরমুজ চাষ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।