নয়াদিল্লি: প্লাসটিক বর্জন নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বিশেষ লাভজনক হয়নি। বিতর্কের মাঝেই প্লাসটিক ব্যবহারে লাগাম টানা কতটা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। তবে শেষমেশ ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের একটি গবেষণা এই প্রেক্ষাপটে দিশা দেখাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন গবেষণা চালাচ্ছিল প্লাসটিক বর্জ্য থেকে কীভাবে ব্যবহারযোগ্য তেল উৎপাদন করা যায়। সেই গবেষণায় সাফল্য এসেই গিয়েছে বলা যায়। ভারত সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০২২ সাকের মধ্যেই প্লাসটিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করা যাবে বলে জানা গিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন সূত্রে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চিন ও জাপান এরমধ্যেই এই পদ্ধতিতে কাজ শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব পাওয়া গিয়েছে এই দুই দেশে ১০০ টন প্লাস্টিক থেকে ৩৮–৬২ টন তেল উৎপাদন করা হয়। তবে এই গবেষণাতে একাধিক সমস্যা দানা বাধতে শুরু করেছে।
মনে করা হচ্ছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের গবেষণার কাজ শেষ হয়ে এলেও তা বাস্তবে কার্যকর করা খুব একটা সহজ হবে না। কারণ সেক্ষেত্রে ভোজ্য তেলের দাম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে। ভোজ্য তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৬০ মার্কিন ডলারের কম হয়ে গেলে প্লাসটিক থেকে তেল উৎপাদন প্রক্রিয়ার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পরতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাজীব সিং জানিয়েছেন, “প্লাসটিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন একবার শুরু হয়ে গেলে বাজারে তেলের জোগান বেড়ে যাবে। আর তাতেই স্বাভাবিকভাবে তেলের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।” তবে এই প্রক্রিয়া যদি কার্যকর করা যায় তাহলে যে তা বেশ লাভজনক তা নিয়েও আশায় দিন গুনছেন অনেকেই।