Home Third Lead ফতুল্লায় ৪ দিন আটকে রেখে কিশোরীকে গণধর্ষণ

ফতুল্লায় ৪ দিন আটকে রেখে কিশোরীকে গণধর্ষণ

রিফাত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

নারায়নগঞ্জ: সেহেরী খেতে উঠা কিশোরীকে ৪ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীকে।

ফতুল্লা থানার দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকা থেকে গত (১৭ এপ্রিল) রাতে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পরে রিফাত নামের ২০ বছর বয়সী যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জানা যায়, কিশোরীকে নিয়ে তার মা দেওভোগ এলাকায় বসবাস করেন। কিশোরীর নানী মামা-মামীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আদর্শনগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। বুধবার কিশোরী ইফতারের পূর্বে তার নানীর বাড়িতে যায়। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে নানীকে নিয়ে সেহরি খাওয়ার জন্য নিজ বাসার দিকে রওনা দেয়। বাসার গেট থেকে বের হওয়া মাত্র রিফাত আশরাফ আলীর পুত্র মিনু রাসেল (৪০) ও সিফাত (২২) জোরপূর্বক কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় কিশোরীর মা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে কিশোরীর মা তার মেয়েকে খোঁজ করতে থাকেন।

চারদিন পর রবিবার রাত ৭টার দিকে স্থানীয়রা রিফাতকে আটক করে অপহৃত কিশোরীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে রিফাত স্বীকার করে যে কিশোরীকে মিনু রাসেলের টিনের ঘরে আটকে রাখা হয়ছে। এরপর পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ মিনু রাসেলের টিনের ঘরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করে রিফাতকে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মিনু রাসেল ও সিফাত।

গ্রেপ্তারকৃত মো. রিফাত ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম দেওভোগ পশ্চিম নগরের শেষ মাথার হাকিম ভিলার ভাড়াটিয়া মো. সুরুজ মিয়ার পুত্র।

নির্যাতিত কিশোরী জানায়, তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার পর সিফাতের সহায়তায় মুখ কাপড় দিয়ে বেধে রাত সাড়ে চারটার দিকে মিনু রাসেল কিশোরীকে পরপর দুইবার ধর্ষণ করে ঘরটিতে আটকে রাখে। একই দিন বেলা সাড়ে বারোটার দিকে গ্রেপ্তারকৃত রিফাত কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ ভাবে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী মাসুদ রানা জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধারসহ রিফাত নামক এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অপর আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।