ইন্দোনেশিয়ার পর পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করতে যাবেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ।
গেল ১০ এপ্রিল সৌদি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে ১০ লাখ মুসল্লি এবার হজ পালন করতে পারবেন। স্বাভাবিক মৌসুমে ২৫ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিতে পারেন। এ থেকে প্রতিবছর ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হতো উপসাগরীয় দেশটির। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমিয়ে এনেছে সৌদি সরকার।
দেশটির হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার ইন্দোনেশিয়া থেকে এক লাখ ৫১, পাকিস্তানের ৮১ হাজার ১৩২, ভারতের ৭৯ হাজার ২৩৭ মুসল্লি হজ পালন করতে যেতে পারবেন।
এছাড়া নাইজিরিয়ার ৪৩ হাজার আট, আফগানিস্তানের ১৩ হাজার ৫৮২, তুরস্কের ৩৭ হাজার ৭৭০ জন হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স থেকে ১২ হাজার ৩৪৮, ৯ হাজার ৫০৪ ও ৯ হাজার ২৬৮ মুসল্লি হাজ করতে যেতে পারবেন।
অবশ্য, বৃহস্পতিবার হজের যে কোটা প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি অস্থায়ী। পরবর্তী সময়ে তা সংশোধন করা হতে পারে। একটি দেশের মুসলিম জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে হজের কোটা নির্ধারণ করে সৌদি আরব।
চলতি বছরে হজের সম্ভাব্য তারিখ ৭ কিংবা ৮ জুলাই। জ্বিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশটি ২০২০ সাল নাগাদ ওমরাহ ও হজের জন্য আগত মুসল্লিদের সংখ্যা দুই কোটিতে উন্নীত করতে চেয়েছিলেন। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তিন কোটিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তারা।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু হজ থেকেই ৫০ বিলিয়ন রিয়াল (১৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার) আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব।
এদিকে, এখন থেকে বাংলাদেশে হজের চুক্তি হওয়ার পর কেউ সৌদিতে কোনো হজযাত্রীকে ঠকালে বা প্রতারণা করলে তার অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
এখন থেকে কোনো হজ ও ওমরাহ এজেন্সি সৌদি আরবে গিয়ে কোনো হজযাত্রীর সঙ্গে অপরাধ করলে এবং তা প্রমাণিত হলে জরিমানা গুনতে হবে ৫০ লাখ টাকা। এমন বিধান রেখে সংসদে খসড়া আইনটি সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি । গত বছরের (১৩ জুন) ধর্ম মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।
খসড়া আইনে বলা আছে, হজের চুক্তি হওয়ার পর এখন থেকে কেউ সৌদিতে কোনো হজযাত্রীকে ঠকালে বা প্রতারণা করলে তার অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়েছে, হজ এজেন্সি অপরাধ করলে নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সবোর্চ্চ ৫০ লাখ আর ওমরাহ এজেন্সি অপরাধ করলে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
হজ ও ওমরার নিবন্ধন পেতে হলে হজ এজেন্সিকে তিন বছর আর ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছর ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলে খসড়া আইনে প্রস্তাব করা হয়েছে।