শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখান থেকে সড়কপথে এই বরেণ্য রাজনীতিবিদের মরদেহ নেয়া হবে জন্মস্থান সিলেটে। আগামীকাল বাদ জোহর সিলেট শহরের ঈদগা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সিলেট শহরের রায়নগরে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হবে।
আজ সকাল ১১টায় গুলশান আজাদ মসজিদে আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চ্যেয়ারম্যান ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হুসাইন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. ফজলে কবীর, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মুমেন, সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল মুহিতের বাল্যবন্ধু ও সাবেক সিএসপি অফিসার মোকাম্মেল, এফবিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট একে আজাদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজসহ সহস্রাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। জানাজার আগে পরিবারের পক্ষ থেকে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোটভাই সাবেক সচিব এ কে আবদুল মুবিন ও ছেলে সাহেদ মুহিত বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সংগ্রামী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল ২০২২) দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। বৃহত্তর সিলেটের এই কীর্তিমান পুরুষ ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, লেখক এবং ভাষাসৈনিক। ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর
রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম জানাজা হয়।
লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ছাড়াও অনেকে মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।