জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে মো. রনি মিয়া: সুনামগঞ্জের করচার হাওরের উঁচু এলাকার ২৬ গ্রামের কৃষকের পাকা ধান পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে, বানের তোড়ে ১৫ টি বসত বাড়ি ভেসে গেছে।
শুক্রবার বিকেলে গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ ভেঙে এই বিপর্যয় দেখা দেয়।
আজ শনিবার বেলা ১১ টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বসতভিটা হারানো পরিবারসহ ৫০ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর, সোনাপুর, চাঁনপুর, গবিনপুর ও সাক্তারপাড় এই পাচঁটি গ্রামের প্রায় ১৬শত একর স্কীমের কাটা পাকা ধান বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা হবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান শাহারিয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান এড. মো. আবুল হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কৃষকের প্রায় আট হাজার হেক্টর জমি রয়েছে করচার হাওরে। হাওরের প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। কিন্তু উঁচু এলাকার জমির ধান এখনো রয়েই গেছে। এসব জমিতে বিআর ২৯ জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও চলতি নদীর পানি বাড়ায় গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ হঠাৎ করে ভেঙে প্রবল বেগে ঢুকা ঢলের পানিতে ভাদেরটেক গ্রামের বসতভিটা ভেসে গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি-উর-রহিম জাদিদ বললেন, গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের দুটি অংশ পানির চাপ সামলাতে না পেরে ভেঙেছে। কিছু পরিবারের বসতভিটা ভেসে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। পাকা ধান কেটে আনতেও কৃষি অফিস সহযোগিতা করছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের পাচঁটি গ্রামের কৃষকদের হাওর থেকে কেটে এনে তীরে রাখা ধান বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কিভাবে সহায়তা দেয়া যায় তা নির্ধারন করে একটি তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে ।