পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান গ্রামের ছেলে প্রশান্ত কুমার ওরফে মরু। প্রশান্তর বাবা প্রলব চন্দ্র পেশায় দর্জি এবং মা স্কুল শিক্ষিকা। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিল প্রশান্ত। স্কুল শিক্ষিকা মায়ের সন্তান হওয়ায় স্বভাবতই ছোট থেকে পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক ছিল মরুর। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পর স্নাতক পাশ করে ব্যাঙ্কে চাকরি নিয়েছিল পিকে। স্থানীয় একটি স্কুলের পরিচালন সমিতির ম্যানেজার হিসাবেও নির্বাচিত হয়েছিল প্রশান্ত।
ব্যাঙ্ককর্মী থেকে কী ভাবে হাওলা-কাণ্ডে জড়িত হলেন পিকে
দীঘিরজান গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছে, ব্যাঙ্কে চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রশান্ত কুমারের মধ্যে দ্রুত বড়লোক হওয়া এবং অনেক টাকা উপার্জনের নেশা চেপে বসে। এরপর সুকৌশলে ব্যাঙ্কে আর্থিক প্রতারণার কাজে হাত সাফাই করতে পারদর্শী হয়ে ওঠে। তারপর স্কুলেও আর্থিক তছরুপে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠে সকলের আদরের মরু। পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ তাঁকে শারীরিক হেনস্তাও করে বলে অভিযোগ। এরপরই গ্রাম ছে়ড়ে চলে যায় প্রশান্ত।প্রশান্তর দীঘিরজান গ্রামের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতেই বাবা, মা-কে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় প্রশান্ত। তবে সে যে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তা কেউ জানত না বলেই প্রতিবেশীদের দাবি।
পিকের সম্পত্তির পরিমাণ কত এবং তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে?
ভারতের ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, হালদারের মোট ৮৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সবকটি অ্যাকাউন্ট শিল করা হয়েছে এবং তার প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। পিকে সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া পিকে সহ ধৃত তার সহকারীদের বিদেশভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।