বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
শুরুটা হয়েছিল ব্রিটেন দিয়ে। এরপর কানাডার কিউবেক শহরে ডজনখানেক মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) রোগী খুঁজে পাওয়া গেছিল। এখন জানা যাচ্ছে, আমেরিকাতেও হানা দিয়েছে এই সংক্রামক ভাইরাস। এখনও অবধি একজন আক্রান্তকে খুঁজে পাওয়া গেছে, তবে সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) জানিয়েছে, যে ব্যক্তির মধ্য়ে সংক্রমণ পাওয়া গেছে তিনি কিছুদিন আগেই কানাডা সফর করে এসেছেন। তাঁর আশপাশের কতজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে তা এখন কনট্যাক্ট ট্রেসিং করে খুঁজে বের করতে হবে। কানাডার কিউবেক শহরে এখনই ১৩ জন সংক্রমিত। আরও অনেকের মধ্য়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনার পরে নতুন আতঙ্ক মাঙ্কিপক্স
মাঙ্কিপক্স এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ। গুটিবসন্ত যে গোত্রের ভাইরাস, মাঙ্কিপক্সও সেই একই গোত্রের। Orthopoxvirus genus পরিবারের ভাইরাসই এই রোগ ছড়ায়। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম মানুষের শরীরে ধরা পড়ে ১৯৭০ সালে কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে। আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় মহামারীর মতো দেখা দিয়েছিল এই রোগ। এখন বিশ্বের অনেক দেশেই মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) সংক্রমণ দেখা যায়।
এই ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ২-৩ দিন। সংক্রমণ ছড়ানোর তিন দিনের মাথায় ধূম জ্বর আসবে রোগীর। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হতে পারে। সেই সঙ্গেই সারা শরীরে বড় বড় ফোস্কার মতো র্যাশ বের হবে (Monkeypox)। ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যাবে, প্রচণ্ড চুলকানি, জ্বালা হবে র্যাশের জায়গায়। একই সঙ্গে অসহ্য় মাথাব্যথা, পেশির খিঁচুনিও হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহ ভোগাবে এই রোগ।
প্রাণীর শরীর থেকে ছড়ায় এই রোগ। আফ্রিকান রডেন্ট ও বাঁদর জাতীয় প্রাণীদের থেকেই এই রোগের ভাইরাস (Monkeypox) ছড়ায় বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। সিডিসি জানাচ্ছে, এই ভাইরাসের উৎস কী, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি এখনও। প্রাণীর মাংস, মলমূত্র থেকে রোগ ছড়াতে পারে। আবার রডেন্ট জাতীয় প্রাণী আঁচড়ে বা কামড়ে দিলে ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে।