Home দিল্লি কুতুব মিনার প্রাচীন সৌধ, সেখানে পূজার্চনা নয়

কুতুব মিনার প্রাচীন সৌধ, সেখানে পূজার্চনা নয়

কুতুব মিনার

১৯০৪-এর দ্য অ্যানসিয়েন্ট মনুমেন্টস প্রিজারভেশন অ্যাক্টের অধীনে ১৯০৯ সাল থেকে কুতুব মিনারের  সুরক্ষা ও সংরক্ষণ করে আসছে এএসআই। সেই থেকে মিনার ও লাগোয়া এলাকার কোনও ধরনের পরিবর্তন করা হয়নি। যা ছিল তাই আছে। আইন মোতাবেক তাই অক্ষত রাখতে হবে।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

কুতুব মিনার একটি সংরক্ষিত প্রাচীন সৌধ, সেখানে কোনওভাবেই পূজার্চনার অনুমতি দেওয়া যাবে না। মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালতে জমা করা হলফনামায় এই কথা বলেছে সরকারি সংস্থা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ।

তারা বলেছে, ১৯০৪-এর দ্য অ্যানসিয়েন্ট মনুমেন্টস প্রিজারভেশন অ্যাক্টের অধীনে ১৯০৯ সাল থেকে কুতুব মিনারের  সুরক্ষা ও সংরক্ষণ করে আসছে এএসআই। সেই থেকে মিনার ও লাগোয়া এলাকার কোনও ধরনের পরিবর্তন করা হয়নি। যা ছিল তাই আছে। আইন মোতাবেক তাই অক্ষত রাখতে হবে।

তারা ১৯৫৮ সালের দ্য অ্যানসিয়েন্ট মনুমেন্টস অ্যান্ড আর্কিওলজিক্যাল সাইটস অ্যান্ড রিমেইন্স আইনের সংশ্লিষ্ট ধারারও উল্লেখ করেছে। ওই আইন অনুসারে, ওই ধরনের নির্মাণ এলাকায় কোনও জাতীয় উপাসনার অনুমতি দেওয়া যায় না। সরকারি নিয়ামক সংস্থার বক্তব্য, উপাসনা সংক্রান্ত সাংবিধানিক অধিকার বলেও এই অনুমতি কাউকে দেওয়ার সুযোগ নেই সংশ্লিষ্ট আইন দুটিতে। সংশ্লিষ্ট মামলাটি তাই খারিজ করার আর্জি জানিয়েছে তারা।

কুতুব মিনার তৈরির সময় ওই এলাকায় ২৭টি মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল দাবি করে সেগুলির পুননির্মাণের আর্জি জানিয়ে দিল্লির ওই আদালতে কয়েক মাস আগে মামলা হয়। জৈন দেবতা তীর্থঙ্কর ভগবান রিশভ দেবের তরফে নিকটতম বন্ধু পরিচয়ে জনৈক হরি শঙ্কর জৈন আদালতে দাবি করেছেন কুতুব মিনার চত্ত্বরে মসজিদটি একটি মন্দির ভেঙে সেই জায়গায় তৈরি করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রথম মুসলমান শাসক কুতুবুদ্দিন আইবকের নির্দেশে কুতুব মিনার নির্মাণ শুরু হয়। দিল্লিতে কুতুব কমপ্লেক্সে অবস্থিত মিনারটি বিশ্বে ইটের তৈরি সর্বোচ্চ মিনার।

এএসআই অবশ্য কুতুব মিনার চত্ত্বরে হিন্দু দেব-দেবীর নিদর্শন এবং মন্দিরের অংশ বিশেষের অস্তিত্ব অস্বীকার করেনি। সেই সঙ্গে বলেছে, সেগুলিও খুবই যত্ন করে সুরক্ষিত করা আছে। সর্বসাধারণের তা চাক্ষুষ করার সুযোগ রয়েছে। ফলে নির্দশনগুলি হারিয়ে বা লুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু সবই ওই প্রাচীন সৌধের অংশ। সেখানে কোনওভাবেই পূজার্চনার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

প্রসঙ্গত, বারাণসীর জ্ঞানবাপী ও মথুরার শাহী ইদগা মসজিদ নিয়েও এখই ধরনের মামলা হয়েছে। বলা হয়েছে, সমজিদ দুটি মন্দির ভেঙে সেই জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছিল। মন্দিরের জায়গা ফিরিয়ে দিতে হবে। সরিয়ে নিতে হবে মসজিদ। এখন দেখার কুতুব মিনার নিয়ে সরকারি সংস্থার আপত্তি নিয়ে আদালত কী অবস্থান নেয়।