চেম্বারে ‘ফ্রম ব্লু ইকনোমি টু ব্লু গভর্ণেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনার
নীতিমালা প্রণয়ন ও কমিশন গঠনে গুরুত্বারোপ
চট্টগ্রাম: দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) ও বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র উদ্যোগে এবং যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটি’র সহযোগিতায় ‘ফ্রম ব্লু ইকনোমি টু ব্লু গভর্ণেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনার ২৪ মে সন্ধ্যায় জুম কনফারেন্স’র মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েবিনারে ব্লু ইকনোমির জন্য যত শীঘ্রই সম্ভব নীতিমালা প্রণয়ন ও কমিশন গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বিসিই’র চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পিয়েরে ফেলার ।
অন্যান্যের মধ্যে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চিটাগাং চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মোঃ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন ব্লু ইকনোমি সেল এর প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) এস. এম. জাকির হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি’র ইনস্টিটিউট অব বে অব বেঙ্গল এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ’র পরিচালক কমোডর (অবঃ) ওয়াহিদ হাসান কুতুবউদ্দিন, পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল এনগেইজমেন্ট অফিসার জু হল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিজনেস ইন্টারলিংক’র সিইও ম্যাবস নূর।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর পিয়েরে ফেলার ব্লু ইকনোমি’র বিভিন্ন সেক্টর, সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ব্লু গভর্ণেন্স’র ক্ষেত্রে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব লেভেলে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন, শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্লু ফাইন্যান্সিং এবং সমুদ্র সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি অত্যাবশ্যক বলে উল্লেখ করেন।
ব্লু ইকনোমির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি সম্প্রসারণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বহুমূখীকরণ সম্ভব। এ খাতগুলো আরএমজি খাতের মত বৃহৎ খাতে উন্নীত হতে পারে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুটি কয়েক খাতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা হ্রাসে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর ক্ষেত্রে বর্তমানের মত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে বলে আলোচকবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বক্তারা সরকারের নিকট সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-(১) যত শীঘ্রই সম্ভব ব্লু ইকনোমি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা (২) বর্তমান ব্লু ইকনোমি সেলকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ব্লু ইকনোমি কমিশনে রূপান্তরের বিষয় বিবেচনা করা (৩) ব্লু ইকনোমির বিভিন্ন খাত যেমনঃ বন্দর পরিচালনা, লজিস্টিকস, উপকূলীয় পর্যটন, সমুদ্রে মৎস্য আহরণ এবং অ্যাকুয়া কালচারারে দেশীয় বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার জন্য অগ্রাধিকার প্রদান করা (৪) বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অংশীদারিত্বের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যৌথ কোম্পানী গঠনে উৎসাহিত করা (৫) চট্টগ্রাম বন্দরকে গ্রীণ পোর্টে রূপান্তর করা (৬)ইত্যাদি।