বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
নাগরিক যন্ত্রসভ্যতার কোপে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে ছোট বড় বহু প্রাণী। আজ আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না কোথাও । ডারউইনের যোগ্যতমের উর্ধতন সূত্র মেনেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে কত পাখি, পশু, পতঙ্গ। সে বিলুপ্তির ধারা এখনও বহমান। পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক প্রাণী। অস্ট্রেলিয়ার একটি সমীক্ষা থেকে সম্প্রতি জানা গেছে ৬০টির বেশি প্রাণী এখন একেবারে বিলুপ্তপ্রায়।
অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা মোট ৬৩টি মেরুদণ্ডী প্রাণী চিহ্নিত করেছেন যারা বিলুপ্তপ্রায় )। আগামী ২০ বছরের মধ্যেই এইসমস্ত প্রাণীদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদের মেয়াদ ২০৪১ সাল পর্যন্ত। তবে গবেষকরা এও বলেছেন, এখন থেকে সতর্ক হলে, প্রাণীসংরক্ষণের জন্য উদ্যোগী হলে, হয়তো এই ৬৩ প্রাণীর মধ্যে অন্তত ৪৭টি প্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব।
বিলুপ্তি আটকাতে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা
এইসব প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে ২১টি মাছ, ১২টি পাখি, ৬টি স্তন্যপায়ী, ৪ ধরনের ব্যাঙ এবং ৪ ধরনের সরীসৃপ । বিজ্ঞানীরা বলছেন, কারা বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে, তারা কোথায় থাকে, তাদের বিলুপ্তির কারণ কী, কীভাবে তাদের বাঁচানো যাবে- সবটাই আমাদের জানা। শুধু দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করতে হবে। তাহলেই এতগুলো প্রাণীর পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া রুখে দেওয়া সম্ভব।
বলা হচ্ছে, যে সমস্ত প্রাণীদের বিলুপ্তপ্রায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক এমন রয়েছে যাদের সামান্য কিছুটা যত্ন প্রয়োজন। ছোটখাটো এলাকায় স্বল্প আয়োজনে সেই প্রাণীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলেই বিলুপ্তি আটকানো যাবে। কিং আইল্যান্ড ব্রাউন থর্নবিলের মতো কিছু প্রাণী রয়েছে যাদের সংরক্ষণে অন্য নতুন বাসস্থান, আবহাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।
গবেষকরাও এও জানিয়েছে, কিছু প্রাণীকে গত কয়েকদিন ধরে একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সরীসৃপ, চারটি পাখি, চারটি ব্যাঙ, দুটি স্তন্যপায়ী এবং একটি মাছ। এদের বাঁচানোই সবচেয়ে মুশকিল হতে চলেছে। এই সমস্ত প্রাণীরা বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের চিন্তায় রেখেছে। বিলুপ্তি আটকাতে শেষ পর্যন্ত যা করার দরকার তা করতে বদ্ধপরিকর সকলেই।