বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
মোংল:রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকরা মোংলার দিকে ঝুঁকেছেন। এই বন্দর দিয়ে বেশি গাড়ি আনছেন তারা।
বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থ বছরে মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৮০৮টি। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মোংলা দিয়ে প্রথম ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৯০৯টি গাড়ি আমদানি হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে।
‘মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি ক্রমেই বেড়ে চলছে’ উল্লেখ করে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা কারণ হিসেবে বলেন, আমদানিকারকদের বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, স্বল্প সময়ের মধ্যে গাড়ি খালাস, গাড়ি রাখার জন্য উন্নতমানের শেড ও ইয়ার্ড নির্মাণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সার্বক্ষণিক টহল ও সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা।
আরও বলেন, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়ার কারণে আমদানিকারকেরা এই বন্দর বেছে নিয়েছেন। এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আরও সুযোগ তৈরি হলো। গাড়ি আমদানি করে দ্রুতই এখান থেকে সড়ক পথে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাতে পারছেন। এতে করে ব্যাপক লাভবান হবেন তারা।
সড়ক ব্যবস্থায় উন্নতি হওয়ায় গাড়ি আমদানি বৃদ্ধিসহ এ বন্দরে ব্যাপক কর্মযজ্ঞের সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর আমদানি করা শতাধিক গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে গেছে। সেতু চালু হওয়ায় এই বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানির আগ্রহ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দুরত্ব ২৬০ কিলোমিটার, সেখানে ঢাকা থেকে মোংলার দুরত্ব ১৭০ কিলোমিটার। যে কারণে একটি গাড়ি বন্দর থেকে খালাসের পর খুবই কম সময়ে ও স্বল্প খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে পারে।