বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভরা জনসভায় তখন লোকে লোকারণ্য। ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে । জাপানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা। আচমকাই কান ফাটানো গুলির আওয়াজ। পর পর দু’রাউন্ড গুলি চলে। তারপরেই দেখা যায় রক্তাক্ত লুটিয়ে পড়েছেন ৬৭ বছরের আবে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রথম গুলি আবের কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছিল। তাই দ্বিতীয়বারও চেষ্টা করে আততায়ী। দ্বিতীয় গুলি সটান গিয়ে বুকে বেঁধে। গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে। দ্য জাপান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, গুলির লাগার পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন আবে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনও জানা যাচ্ছে না। কিছু সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে গুলি লেগে মৃত্য়ু হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, আবার কিছু মিডিয়ায় খবর তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।
পুলিশ জানাচ্ছে, শিনজো আবেকে যে গুলি করেছিল সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেছন থেকে আবেকে গুলি করে সে। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ।
বেশ কয়েক বছর ধরে আলসারেটিভ কোলাইটিসে ভুগছিলেন শিনজো আবে। এর ফলে ছোট ছোট আলসার পুরো কোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কোলনের ভিতর ঘা হয়, যার কারণে পেটের ভিতর প্রদাহজনিত যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁর আমলেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে জাপানের উত্থান ঘটে। তাঁর হাত ধরেই ভারত-জাপান সম্পর্ক মজবুত হয়। ‘দুই সাগরের সঙ্গমস্থল’, যা ইন্দো-প্যাসিফিক নামে পরিচিত, তার ধারণা দিয়াছিলেন আবেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে চার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কূটনৈতিক জোটের কথাও তিনিই বলেছিলেন। জাপানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের ক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্ব অনেক।