গাজীপুর থেকে অম্লান দে: প্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে ঈদের দিন গাজীপুরের শ্রীপুরে ছুটে এসেছেন লায়ডা এ লোজা নামে এক মার্কিন তরুণী। ঈদের দিন (১০ জুলাই) রাতে শ্রীপুরের যুবক ইমরান হোসেন খান বিমানবন্দরে তাকে বরণ করে নিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লায়ডা এ লোজার পরিচয় হয় ইমরান হোসেন খানের সঙ্গে। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ইমরান হোসেন খান জানান, রবিবার ঈদুল আজহার দিন রাতে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে রিসিভ করে বাড়ি নিয়ে আসি। বাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠছে। ভাষাগত জটিলতার কারণে সব কিছু এখনো বুঝে উঠতে পারে না। পরে আমি বুঝিয়ে দিলে সে বুঝে।
আশপাশের প্রতিবেশীরা আমেরিকান তরুণী বউ দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন। লোজা আমেরিকান অঙ্গরাজ্য এরিজোনার বাসিন্দা। তার নাম লায়ডা এ লোজা। বিয়ের পরে নাম রাখা হয়েছে লায়ডা এ লোজা খান। লোজা আমেরিকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। বর্তমানে সে বেকার।
বাংলাদেশের যুবক ইমরান খান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী কুমারভিটা এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। ইস্ট ওয়েস্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করার আগেই তিনি চাকরি খুঁজছেন।
স্বজনরা জানান, বেশ কিছু দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়। এর পর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। চলে তাদের যোগাযোগ। এর আগেও একবার দেশে আসতে গিয়ে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন জটিলতায় আসতে পারেনি। কোভিড জটিলতায় ইমিগ্রশেন বিভাগ তাকে আটকে দেয়। পরে সব সমস্যা আইনি জটিলতা সমাধান হলে রোববার রাতে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করেন। পরে ভোরে বাড়িতে আসেন তারা।
ইমরান হোসেন খান বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরে সে পরিচয় প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। এরই মধ্যে একবার এ দেশে আসার চেষ্টা করলেও সমস্যা তৈরি হয়। সে সময় ইস্তাম্বুল আটকা পড়েছিল কোভিড জটিলতায়। পরে আমরা নেপালে দেখা করে সেখানে বিয়ে করি। সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
লোজা জানায়, তার শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম অসুস্থ। তাই মাঝেমধ্যে আমেরিকা যাবেন এবং বেশিরভাগ সময় স্বামী ইমরানের বাড়িতেই থাকবেন। শাশুড়ি সুস্থ হলে ইমরানকে নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করবেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এমন খবর আমাদের জানা নাই। আমরা খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।