শওকত আলী
চাঁদপুর: কচুয়ার কড়ইয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ডুমুরিয়া গ্রামে নির্মিত হয়েছে আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ। ব্যক্তি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তা ও পরামর্শে স্থানীয় বাইতুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এই স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। তৈরিতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন ব্যবসায়ী মো. আব্দুল হান্নান মিয়াজী। বাংলাদেশের মধ্যে কচুয়া উপজেলা আল্লাহর ৯৯টি নামের স্তম্ভ নির্মান করে একটি ইসলামি নিদর্শন সৃস্টি করে ইতিহাসে কচুয়ার নাম স্মরনীয় করে রাখলো।
আব্দুল হান্নান মিয়াজী বলেন, চাঁদপুর জেলায় এই সর্বপ্রথম আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ তৈরী করা হলো। মানুষ যাতে আল্লাহ ভীরু হতে পারে সেজন্য আমার বাবার ইচ্ছা পূরণে এটা নির্মাণ করেছি। লোকজন রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার সময় আল্লাহর নাম পড়বে। দেড় বছর সময় নিয়ে ৪০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন স্তম্ভটির কাজ সমাপ্ত করতে পেরে ভাল লাগছে।
সরজমিনে কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আল্লাহর ৯৯ নাম আরবিতে স্তম্ভটির নিচ থেকে উপর ভাগ পর্যন্ত চারপাশে লেখা হয়েছে। নিচে বর্গাকার বেদি রয়েছে।
এ বিষয়ে বাইতুল আমান জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা এই মসজিদটি ২০০০ সালে নির্মাণ শুরু করি। তখন এটি টিনসেড ঘর ছিলো। তবে এখন বিল্ডিং হয়েছে। বিল্ডিং হওয়ার পরে ভেবেছিলাম মসজিদটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কি করা যায়। তখন চিন্তা করে আমরা আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভটি তৈরি কারার উদ্যোগ নেই। ১০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। আমাদের এ কাজে এলাকার অনেকেই আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন, পরামর্শ দিয়ে পাশে থেকেছেন। তাই সবার কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
কচুয়া পৌরসভার মেয়র মো. নাজমুল আলম স্বপন বলেন, আল্লাহর ৯৯টি নামের যে স্তম্ভটি কচুয়াতে স্থাপিত হয়েছে আমি মনে করি, এটি কচুয়ার জন্য ঐতিহাসিক একটি ইসলামি নিদর্শন হিসেবে স্থান করেনিল। উদ্যোক্তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, আমাদের এ কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামে স্তম্ভটিতে কারুকার্য করে আল্লাহর ৯৯টি নাম ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে। এটি একটি ভাল কাজ হয়েছে। এ রক্ষনাবেক্ষন কারার দায়িত্ব আমাদের সকল ধর্মপ্রান মুসলমানের। বাংলাদেশের মধ্যে কচুয়া উপজেলা আল্লাহর ৯৯টি নামের স্তম্ভ নির্মান করে একটি ইসলামি নিদর্শন সৃস্টি করে ইতিহাসে কচুয়ার নাম স্মরনীয় করে রাখলো।