বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
শুরুতেই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৬ রান তুলতেই টপঅর্ডারের তিনজন ব্যাটারকে হারায় ক্যারিবিয়ানরা। তবে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও কার্টির ব্যাটে বেশ কিছুক্ষণ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ দুজনের জুটি অর্ধশত রান স্পর্ষ করে।
কিন্তু হঠাতই কার্টি শিকার হন নাসুমের। ৬৬ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপরই ক্যারিবিয়ান শিবিরে শুরু হয় ছন্দপতন। এরপর নামা রোভম্যান পাওয়েলকে ফেরান তাইজুল। পরে কেমো পল এসে পুরানের সাথে জুড়ি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১০ বলে মাত্র ৬ রান করতে পারেন তিনি।
তারপর আসেন আকিল হোসেন। ৮ বলে ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। গুডাকেস এসেও সুবিধা করতে পারেননি। ৬ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।
শেষ উইকেট জুটিতে রোমারিও শেফার্ড ও আলজেরি জোসেপ ২৫ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভার ৪ বল খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮ রান।
শনিবার গায়ানায় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যান সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগাররা।বাংলাদেশের লক্ষ্য ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করা।
সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দলে স্পিনার সংখ্যা বাড়িয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেদিকটায় বেশ সফল বাংলাদেশ। দুই বছর পর একদিনের ম্যাচে সুযোগ পাওয়া স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফেরার ম্যাচেই প্রথম বলে উইকেট পেয়েছেন।
দলের রান তখন মাত্র ৯। তাইজুলের বলে বোল্ড হন ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রান্ডন কিং। ৯ বলে মাত্র ৮ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার সাই হোপকেও নুরুলের স্ট্যাম্পিংয়ে ফেরান তাইজুল। হোপ করেন দুই রান। বল খেলেছেন ১৫টি।
তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে নামেন সামরাহ ব্রোকস। থিতু হওয়ার আগে তাকে ফেরান আজ খেলা একমাত্র পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৮ বল খরচায় ব্রোকস করেন ৪ রান।
এদিকে বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার বোলিং করে ২৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন তাইজুল। দু’টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ ও নাসুম। আর একটি উইকেট পান মোসাদ্দেক হোসেন।