বিজনেসটুড২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দেশের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১৪ টাকা কমল। এ নিয়ে গত এক মাসে দাম কমল ২০ টাকা। আজ থেকেই নতুন দামে পাওয়া যাবে বোতলজাত সয়াবিন তেল।
এর আগে রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং ভোজ্য তেলের আমদানি, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানির মালিক-প্রতিনিধিদের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা। সেটি কমে হবে ১৮৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৬৬ টাকা লিটার। গতকাল পর্যন্ত খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে লিটার প্রতি ১৮০ টাকা। পাম তেল বিক্রি হবে ১৪৮ টাকায়, গতকাল পর্যন্ত দাম ছিল ১৫৪ টাকা লিটার।
গত ২৬ জুন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা করা হয়েছিল। তবে সরকার দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই আগের দাম লিটারে ২০৫ টাকা দরে কিনতে বাধ্য হন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই তেল তাদের আগের কেনা, নতুন চালান না আসা পর্যন্ত দাম কমানো যাবে না। অথচ যখন দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর থেকে ভোজ্য তেলের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। এক বছরেরও কম সময়ে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ে দেশে দেশে।
২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১ হাজার ৩৮৫ ডলার। চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৫৬ ডলার। সে সময় প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হিসাবে লিটারপ্রতি দর দাঁড়ায় ১৫৩ টাকা। এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণার দিন সব শেষ তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেদিন লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয় লিটারে ২০৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৮৫ টাকা। তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যতটা কমেছে, দেশের বাজারে ততটা কমানো সম্ভব নয় ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে। কয়েক মাস আগেও ডলারের দাম ৮৬ টাকা ধরে ঋণপত্র খোলা যেত। এখন সেটি ৯৪ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই হিসাবে টাকার দরপতনের কারণে আমদানিতে ১০ শতাংশের বেশি দাম পড়ে যাচ্ছে।