বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গাজীপুর: রবিবার সকালে শ্রীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের একটি বাস চুরমার হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৪ শ্রমিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
সকাল পৌনে আটটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের বরমী ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসের ধাক্কায় লেভেল ক্রসিংয়ে ব্যবহৃত ব্যারিয়ার ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্যদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। হতাহতরা সবাই তেলিহাটি ইউনিয়নের জামান ফ্যাশনের শ্রমিক ছিলেন।
আহতরা হলেন- নিলুফা আক্তার (৫১), জাহিদ (২৪), আরমান (১৭), নাঈম (২০), পারভেজ (৩৪) ফারজানা (২০) হালিমা (২৫) মাহফুজুল (২৫) সিপন (১৯) হাবিবুল্লাহ ১৬, সুলেমান (১৯), বেবি (৪০), রেশমী আকতার (৪০), বিল্লাল হোসেন (২০) ও আখির হোসেন (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মত তেলিহাটির এলাকার জামান ফ্যাশনের শ্রমিকরা সকাল পৌনে আটটার দিকে মাইজপাড়া হয়ে কারখানায় যাচ্ছিলেন। পরে মাইজপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ে সামনে আসতেই চালক টের পান ট্রেন চলে আসছে। পরে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনের সামনে চলে আসলে ট্রেনের ধাক্কায় বাসটি ছিটকে পড়ে পাশেই।
ট্রেনের ধাক্কায় দুর্ঘটনায় কবলিত শ্রমিকবাহী বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে রেলক্রসিংয়ের পাশের ভবনটির (লাইনম্যানের রুম) বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সকাল সাতটার পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বলাকা কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় মাইজপাড়া এলাকায় রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, একাধিক মৃত্যুর ঘটনা আছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম বলেন, দুর্ঘটনায় আহত অনেক শ্রমিক হাসপাতালে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেকে বাড়ি চলে গেছে। আহতদের কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছে স্বজনরা।
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ জানান, সাড়ে সাতটার পরে ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশন ত্যাগ করে।
গাজীপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল্ল্যাহ্ জানান, এ ঘটনায় ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে নিহতদের বিস্তারিত জানা যায়নি।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের জন্য ২০ হাজার ও আহত পরিবারের জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এ দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হবে।