Home Second Lead চিনে একদিনে আক্রান্ত ২২ আর ইতালিতে ৯৭৭, ইরানে ৮৮১

চিনে একদিনে আক্রান্ত ২২ আর ইতালিতে ৯৭৭, ইরানে ৮৮১

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

অতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস। একদিনে চিনে আক্রান্ত হয়েছে ২২জন। আর গোটা বিশ্বে ৪৫১৯ জন।

পরিসংখ্যান গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’-এর তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে মোট ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৯২২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ৪,২৯২ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের গ্রাসে গোটা বিশ্ব। ১১৯ দেশে থাবা বসিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর সংখ্যা।

ভয়াবহ পরিস্থিতি ইতালিতে। মোট আক্রান্ত ১০,১৪৯। এদের মধ্যে ৯৭৭ জন আক্রান্ত একদিনে। ১৬৮ জন মৃত একদিনে। সেখানে মোট মারা গেছে ৬৩১ জন।

ইরানেও দ্রুত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একদিনে আক্রান্ত ৮৮১ ‍ও মৃত ৫৪। মোট আক্রান্ত হলো ৮০৪২ জন এবং মৃত ২৯১।

স্পেনের অবস্থাও খারাপ। ৪৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছে একদিনে। মোট আক্রান্ত ১৬৯৫ জন। একদিনে মৃত৬। মোট মৃত ৩৬।

ফ্রান্সে ৩৭২ জন আক্রান্ত হয়েছে গতকাল একদিনে। মারা গেছে ৩ জন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গতকাল একদিনে ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৫ জন।

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ তেমন গুরুতর নয়। ১৪ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ বা তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর এবং বাকি ৬ শতাংশ আক্রান্তের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। আক্রান্তদের পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস আক্রান্তের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা দ্রুত নষ্ট করে দেয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয় আর আক্রান্তদের ঘন ঘন জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এক মিনিটে ৩০ বারের বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। যথা সময়ে সঠিক চিকিত্‍সা না হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে রোগী ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর পর ক্রমশ আক্রান্তের হার্ট, কিডনি-সহ একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে এবং রোগী ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় মৃত্যুর দিকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, হাপানির মতো সমস্যা থাকলে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ভাবে বিপজ্জনক করোনাভাইরাস।