জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই এবং চিটাগাং চেম্বারের সাবেক পরিচালক, শিল্পপতি মো. আমিরুল হক
জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শিল্প খাতে বহুমাত্রিক। প্রথমত, পণ্য পরিবহন খরচ বাড়বে। তার সঙ্গে বাড়বে উৎপাদন খরচও। এ ছাড়া শিল্পের প্রশাসনিক খরচও অনেক বেড়ে যাবে। দেশের বেশির ভাগ শিল্পে কমবেশি ডিজেল ব্যবহার হয়। বিদ্যুৎ–সংকটের কারণে এমনিতেই এখন শিল্পে ডিজেলের ব্যবহার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ডিজেলের ব্যবহার বাড়ায় আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে এ খাতে। নতুন করে এখন যুক্ত হয়েছে ডিজেলের বাড়তি দাম।
গত শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির আগে ঢাকা–চট্টগ্রামে পণ্যবাহী একটি ট্রাকের ভাড়া ছিল ২০ হাজার টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধির পর শনিবার এ ভাড়া বেড়ে ৩০ হাজার টাকা হয়ে গেছে এরই মধ্যে। সরকার যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে, আমরা ব্যবসায়ীরা তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।
পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে শেষ বিচারে তার চাপ ভোক্তার ওপর গিয়েই পড়বে। যেভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে, সেই ধাক্কা অর্থনীতি নিতে পারবে কি না, এ নিয়ে শঙ্কায় আছি। এমনিতে ডলার–সংকটের কারণে একধরনের চাপের মধ্যে ছিলাম। এখন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি শিল্পের ক্ষেত্রে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বেশি দামে পণ্য উৎপাদন করে বেশি দামে বেচতে পারব তো?
আমীরুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রিমিয়ার সিমেন্ট
সূত্র: প্রথম আলো