মারণ নেশায় পরিণত হয়েছে ভ্যাপিং বা ই-সিগারেট সেবন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কিছু দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হলেও রোখা যায় মৃত্যু মিছিল। চলতি বছরে ই-সিগারেট সেবনের কারণে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সম্প্রতি মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের ভ্যাপিং-এর কারণে মৃত্যু নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ই-সিগারেট সেবন করে প্রায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অসুস্থের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে, এই নেশা দ্রব্য সেবনে ১,৮৮৮ জন অসুস্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন ডিজিজ কন্ট্রোল। গত সপ্তাহেই এই এজেন্সি জানিয়ে ছিল যে তাদের কাছে ১৬০০ জন এই কারণে ভুক্তভোগী হয়েছে বলে খরব রয়েছে। কিন্তু একসপ্তাহ যেতে না যেতেই অসুস্থের সংখ্যা ২০০বেশি হয়েছে।স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা ভ্যাপিং-এ অসুস্থদের সন্ধানে খোঁজ খবর চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিডিসি-র প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৯টি অঙ্গরাজ্যে থেকে ভ্যাপিং সংক্রান্ত অসুস্থের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। শুধু মাত্র আলাস্কায় এমন একটি অঙ্গরাজ্য যেখানে ভ্যাপিং সম্পর্কিত অসুস্থের খবর মেলেনি।
উল্লেখ্য, তামাক জাতীয় নেশা বর্জন করতে ২০০৩ সাল বিশ্ব বাজারে আসে ই-সিগারেট। কোম্পানিগুলি দাবি করে,যে এই নেশাদ্রব্য তামাক জাতীয় নেশা দ্রব্য থেকে বেশি নিরাপদ। সারা বিশ্বে শুরু হয় ই-সিগারেটের চল। কিন্তু বর্তমানে দেখা গিয়েছে, ই-সিগারেট সাধারণ তামাকজাতীয় দ্রব্যের থেকেও বেশিগুণে ক্ষতিকর। ভ্যাপিং-এ অভ্যস্তদের মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনছে। অজানা ফুসফুসজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাতে ই-সিগারেটের ওপর নিষেধাজ্ঞাজারি করে আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশ।