বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
২৬/১১ মুম্বইয়ে সেই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার স্মৃতি ফিরল। অনেকটা একই ধাঁচে সোমালিয়ার মোগাদিশুর একটি হোটেলে নৃশংস হত্যালীলায় মেতে উঠল জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ গেল বহু মানুষের। মোগাদিশুর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও অবধি ১২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
শুক্রবার রাজধানী মোগাদিশুর একটি হোটেলে হামলা চালায় আল-সাবাব গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। হোটেলের মধ্যে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে তারা। হোটেলের বাইরে দুটি গাড়িতেও বিস্ফোরণ হয়। সোমালিয়া গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হোটেল হায়াতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। একটি গাড়ির বিস্ফোরণ হয় ঠিক হোটেলের গেটের সামনে। হোটেলের ভেতরে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলিও চালায় জঙ্গিরা ।
খবর পেয়ে হোটেল ঘিরে ফেলে সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী । জঙ্গিদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। মোগাদিশুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুটি গাড়ির একটির বিস্ফোরণ হয়েছে হোটেলের কাছে গার্ড রেলে। অপরটি হোটেলের গেটে। এরপরই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে হোটেলে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী গোটা হোটেল ঘিরে ফিরলে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়তে থাকে জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় হোটেল চত্বরে আগুন ধরে যায়।
সোমালিয়ার পুলিশের মেজর হাসান দাহির জানিয়েছেন, জঙ্গিদের সঙ্গে এখনও নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াই চলছে। মোগাদিশুর গোয়েন্দা প্রধান মূহদিন মহামেদও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিস মনে করছে, জঙ্গিরা এখনও হোটেলের ভেতরেই লুকিয়ে রয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় চলছে।
এই আল-সাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়দার মদতপুষ্ট। বার বার এই জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলা হয়েছে সোমালিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে। আল-সাবাব গোষ্ঠীর কম্যান্ডারদের খতম করতে বারে বারেই অভিযান চালিয়েছে সোমালিয়ার সেনা বাহিনী। কিছুদিন আগেই সোমালিয়ার বায়ুসেনা জঙ্গিদের গোপন ডেরায় এয়াপ স্ট্রাইক চালায়। তাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিকেশ হয়। দেশের প্রশাসন মনে করছে, এই হামলার জবাব দিতেই হোটেলে ঢুকে নিরপরাধ মানুষজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। দেশের কোন কোন জায়গা এখন জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে তা খুঁজে করার চেষ্টা করছে দেশের গোয়েন্দা বিভাগ।