বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষদিনে লেনদেনে বড় উল্লম্ফন দেখিয়েছে শেয়ারবাজার। ১,৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। তা চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এ বছরে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ১১ জানুয়ারি। পরিমাণ ছিল ১,৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
বুধবার ১,১৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
বৃহস্পতিবার ২৩০ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে। কমেছে ৫৮ টির। আর ৯১ কোম্পানির শেয়ার দর ছিল অপরিবর্তিত। লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকে সূচক ছিল উর্ধমুখি। লেনদেন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৫ দশমিক ০৭ পয়েন্ট। তা গত ১২ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। ঐদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৫৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের। বুধবার ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ক্লোজিং দর ছিল ৪৫ টাকা। আজ লেনদেন শেষে এর ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪ টাকা ৫০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ডিএসইর দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশনের ১০ শতাংশ, ডেলটা লাইফ ইন্সুরেন্সের ৯.৯৮ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের ৯.৯৮ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৯.৯৭ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৯.৯৩ শতাংশ, হাক্কানী পাল্পের ৯.৯২ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৯.৯১ শতাংশ, আরএসআরএম স্টিলের ৯.৮৯ শতাংশ, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ৯.৬৭ শতাংশ দর বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২০ লাখ টাকার। ৩১২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তর হয়েছে। দাম বেড়েছে ১৬৬ টির। আর কমেছে ৭০টির। ৭৬টির দরে কোন তারতম্য হয়নি।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্লোর প্রাইস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা গণনা পদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করা, বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর আলোচনাসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। সক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও। আর এতে লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত । ২২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে এ খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। হাতবদল হয়েছে ২০৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা আর্থিক খাতে লেনদেন হয়েছে ১৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৬৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের ১৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিমা খাতে হাতবদল হয়েছে ১২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যার মধ্যে জীবন বিমাতেই লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চামড়া খাতে হাতবদল হয়েছে ১১৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার।
দর কমার শীর্ষ দশে ছিল এস আলম স্টিল, সাফকো স্পিনিং, দুলামিয়া কটন, বিডি থাই ফুড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ও আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।