প্রবাসী শ্রমিকদের রক্তে-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে কাজ করতে চায়। বাজুস এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে এসংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে ।
বাজুসের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। সারা দেশে মানুষের সদস্য রয়েছে ৪০ হাজারের মতো। ইতিমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প এখন রপ্তানির দিকে এগোচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না, চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে, যা ডলার সংকটের অন্যতম কারণ। আমরা ধারণা করছি, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্তে-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। বাজুস মনে করে, দেশে চলমান ডলারের সংকট ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেট সোনার বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের সই করা চিঠিতে বলা হয়, সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় আগ্রহী বাজুস।