বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
দিনাজপুর: ফুলবাড়ীতে সব ধরনের সবজির দাম বাড়লেও বাড়েনি আলুর দাম। গতকাল বুধবার প্রতি কেজি আলুর পাইকারি দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। কিন্তু উৎপাদন থেকে হিমাগারে রাখা পর্যন্ত এক কেজি আলুর পেছনে কৃষক ও ব্যবসায়ীর খরচ হয়েছে ২১ টাকা। হিমাগারে আলু রেখে তারা প্রতি কেজি আলুতে তিন টাকা করে লোকসান গুনছেন।
খুচরা বাজারে করলা, পটোল, পেঁপে, শজিনা, কুমড়া, শিমসহ অন্যান্য শাকসবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অথচ আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে। আলুর উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম তাদের। এ অবস্থায় হিমাগার থেকে আলু বের করতে সাহস পাচ্ছেন না তারা।
এদিকে সময়মতো আলু বের না হওয়ায় হিমাগার মালিকদের চলতি মূলধনের ঘাটতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারে আলু রাখতে নিরুৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে ফুলবাড়ী কোল্ডস্টোরেজ ঘুরে দেখা গেছে, সারা দিনে মাত্র দুই-তিন শ বস্তা আলু হিমাগার থেকে বের হচ্ছে। যারাই বিক্রির উদ্দেশ্যে আলু বের করছেন, তাদের প্রত্যেককেই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
খুচরা বাজারে আলু কিনতে আসা আব্দুছ ছালাম বলেন, দাম কম থাকায় পাঁচ কেজি আলু কেনা হয়েছে। তবে দাম বেশি হলে এক থেকে দেড় কেজির মধ্যেই থাকতে হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর শহরের আলু সংরক্ষণকারী বলেন, কোল্ডস্টোরেজে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার বস্তা আলু রেখেছেন। গত দেড় মাসে ১৮ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ১০০ বস্তা আলু বিক্রি করেছেন। এতে তিনি লোকসানের মুখে পড়েছেন। এই দরে সব আলু বিক্রি করলে পুঁজি হারিয়ে যাবে। এ অবস্থায় কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বের করার সহাস পাচ্ছেন না।