বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সরকার নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে রির্জাভ কমে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রিজার্ভ ৩৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৩৬ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
বুধবারই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। মধ্যরাতের পর বিল বাবদ অর্থ কেটে নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রিজার্ভের হিসাব থেকে ওই পরিমাণ অর্থ বাদ দেবে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পরপর দুইমাসে আকুর সদস্যভুক্ত ৯ দেশে (ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়।
এদিকে, ডলার সংকট কাটাতে এবং রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে আমদানিতে কড়াকড়ি, কৃচ্ছ্রসাধন এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ানোর নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরপরেও রিজার্ভ ক্রমাগত চাপে পড়ছে। ৫ সেপ্টেম্বর আকুর দায় হিসেবে ১৭৪ কোটি ডলার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। একই দিন বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আরও পাঁচ কোটি ডলারের কিছু বেশি বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ কমে তিন হাজার ৭০৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল। তারপরও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখায় রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়নের নিচে নেমে গেছে।
আমদানির অর্থ পরিশোধের কারণে চলতি বছরের মে থেকে রিজার্ভ কমতে শুরু করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙ্গে পড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেড়ে যাওয়া এবং কাঙ্খিত রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখতে না পারায় দেশের রিজার্ভে চাপ শুরু হয়।
অবশ্য, আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় দায় পরিশোধের পরিমাণ কমেছে। গত দুই মাসে আমদানির পরিমাণ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। এর ফলে দায় পরিশোধের চাপও কমেছে।
প্রসঙ্গত, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২১ সালে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। গত অর্থবছরের শেষের দিকে রিজার্ভ নেমে আসে ৪২ বিলিয়ন ডলারে। এরপর গত ২০শে জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে।