বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্য বিড়ালের ছবি, তাদের দুষ্টু মিষ্টি ভিডিও ভাইরাল হয় প্রায়ই। কিন্তু বিড়াল যে কতখানি বুদ্ধিমান প্রাণী, তা জানে না অনেকেই৷ এবার তেমনই এক স্মার্ট বেড়ালের দেখা মিলল সোশ্যাল সাইটে৷ টানা চার দিন নিখোঁজ থাকার পর নিজেই পথ চিনে মালিকের ডেরায় ফিরে এসেছে সেই বেড়াল। শুধু ফিরে আসাই নয়, ডোরবেল বাজিয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে ঘরে ঢুকেছে সে। দরজার বাইরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা দৃশ্যটাই। সেই সিসিটিভি ভিডিওই এই মুহূর্তে দারুণ ভাইরাল। পোষ্যের এমন আশ্চর্য বুদ্ধির তারিফ করছেন নেটিজেনেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ঘটনা। দিন চারেক আগে বেপাত্তা হয়ে যায় আফরেনের প্রিয় বিড়াল লিলি। বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে আর ফেরেনি । ঘরের পোষা বিড়াল কতদূরই বা যেতে পারে! প্রতিবেশীদের কাছে জনে জনে জিজ্ঞাসা করেও কোনও খবর মেলেনি। সারাদিন এক অদ্ভুত অপেক্ষায় দিন কাটছিল আফরেনের। ফোন বা কলিংবেল বেজে উঠলেই ছুটে যাচ্ছিলেন এই আশায় যে হয়তো কেউ লিলির খবর এনেছে। এইভাবে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও কোনও খোঁজ মেলেনি লিলির।
মালিক ধরে নিয়েছিলেন, হয়তো বাড়ি ফেরার পথ ভুলে গেছে সে। আর হয়তো কোনওদিনই ফিরবে না। মির্যাকল ঘটে চারদিন পরে। সেদিন সকালেও কলিং বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলতে ছুটে যান আফরেন। কিন্তু দরজা খুলে যা দেখেন তাতে তাজ্জব বনে যান মহিলা। দেখেন, তাঁর হারিয়ে যাওয়া লিলি নিজেই ডোরবেল বাজিয়ে দরজার পাশে অপেক্ষা করছে । পুরো ঘটনাটাই রেকর্ড হয়েছে তাঁদের দরজায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। আদরের বেড়ালের এই আকস্মিক প্রত্যাবর্তন হাসি ফুটিয়েছে আফরেনের মুখে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউইয়র্কের বাসিন্দা আফরেন হুইটলির পোষা বিড়াল লিলি। বয়স আট বছর পেরিয়েছে। সাধারণত বাড়ির আশেপাশেই থাকত সে সারা দিন। এলাকার দুএকটা বিড়াল ছিল তার খেলার সঙ্গী। কোনওদিনই বাড়ি থেকে বেশি দূরে যায়নি সে। প্রায় দু সপ্তাহ আগে পরিবারসহ লং আইল্যান্ডের একটি বাড়িতে ওঠেন আফরেন। নতুন পাড়ায় বেশ মানিয়ে নিয়েছিল লিলি । কিন্তু হঠাৎই এক রাতে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সে। টানা চারদিন পোষ্য বাড়ি না ফেরায় একসময় দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
লিলিকে এভাবে ফেরত পেয়ে খুশিতে ভেসেছে হুইটলি পরিবার। আফরেন নিজেই সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিলি একটা স্মার্ট বিড়াল। লিলিকে ফেরত পেয়ে আমরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। কেঁদে ফেলেছিলাম। ওর এভাবে ফিরে আসাটা আমাদের পরিবারের কাছে এক অসাধারণ মুহূর্ত।’