বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
নাটোর: বাজারে মিনিকেট নামে কোন চাল বিক্রি করা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলছে মিনিকেট নামে চাল বিক্রি। বিভিন্ন নামের শেষে মিনিকেট লিখে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট চাল। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন মিল মালিকদের নির্দেশনা দিতে হবে। কারণ তারা চাল তৈরি করে। প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা করে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মেসার্স সরকার ট্রেডার্স নামের প্রতিষ্ঠান ‘ভাই ভাই স্পেশাল চিনিগুড়া মিনিকেট চাউল’ নামে বিক্রি করছেন মিনিকেট চাল। ৬০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতি বস্তা চাল বিক্রি করছেন ৩ হাজার টাকায়। পাশেই রিয়াদ ট্রেডার্সে প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ২৯শ’ টাকায়। এছাড়াও বাজারের প্রায় ২০টি খুচরা ছোট-বড় দোকানে ঢেঁকি মিনিকেট চাল, বাজারের সেরা ২৮ মিনিকেট চাল, দয়াল সুপার ১নং মিনিকেট চাল, দুলাল মিনিকেট চাল, নাবিল এগ্রো ফুড অটো গোল্ড মিনিকেট চাল, আমজাদ অটো স্পেশাল মিনিকেট চাল, মেসার্স অটো গোল্ড ১নং মিনিকেট চাল, মামা ভাগিনা ২৮ মিনিকেট চালসহ প্রায় ১২ প্রকারের নামে বিক্রি করা হচ্ছে মিনিকেট চাল। ক্রেতারা এসে মিনিকেট চাল চাইলে মিনিকেট নামে বিক্রি করা হচ্ছে এই চালগুলো।
উপজেলা পৌর সদরের রানা অটো রাইস মিল, মেসার্স আল-আমিন অটো রাইস মিলস্ লি: সহ কয়েকটি মিলে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন নামে মিনিকেট চাল স্টক করা রয়েছে। প্রতিটি মিলেই বিভিন্ন নামের মিনিকেট চাল তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে মিল মালিকদের দাবি তারা চাল তৈরি করেন অগ্রিম অর্ডার নিয়ে। যে নামে বস্তা প্রদান করে থাকে সেই বস্তাতেই চাল প্যাকেটজাত করে পাঠানো হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নাটোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, মিনিকেট নামে চাল বিক্রি বন্ধে প্রতিটি মিল মালিক এবং ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। তাছাড়াও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। যে সকল ব্যবসায়ীরা নিষেধাজ্ঞার পরেও মিনিকেট নামে চাল বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।