বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
খুলনা:বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতারা ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বিভাগের প্রতিটি জেলায় প্রায় প্রতিদিনই সভা, সমাবেশ এবং প্রচার মিছিল করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতাদের দাবি, খুলনার সমাবেশে দশ লাখের মতো কর্মীসমাবেশ ঘটাবেন তারা। এরই মধ্যে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের যৌথ সভায় আজ ও আগামীকাল ২২ অক্টোবর আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও প্রতিদিনই কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দুই দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফকরুলের দাবি, সরকার গণসমাবেশ বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে গণসমাবেশের দিন খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পক্ষান্তরে ওবায়দুল কাদের এটা স্থানীয় বাস মালিক-শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যাপার অভিহিত করেছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুদিন আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর রাতে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ২২ অক্টোবর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। খুলনা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও মহাসড়কে নসিমন, করিমন, মাহিন্দ্রা, অতুল, ইজিবাইকসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচলের প্রতিবাদে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুদিন পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে প্রয়োজনে সময় আরও বাড়তে পারে।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, বাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়ন একাত্মতা প্রকাশ করেছে। সে কারণে আমরাও কোনো গাড়ি চালাবো না।
অপরদিকে খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কুদরতই-আমির এজাজ খান অভিযোগ করে বলেন, খুলনার বিভিন্ন উপজেলা এবং বিভাগের অন্যান্য ৯টি জেলা থেকে গণসমাবেশে নেতা-কর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতেই পরিকল্পিতভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে জন্যে ১০ জেলার নেতা-কর্মীদের বিকল্পভাবে সমাবেশে আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে ২২ তারিখে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরের বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হবেই। সমাবেশ স্থলসহ সমস্ত খুলনা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হবে। খুলনা থেকে ১৮টি রুটে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২শ বাস দেশের চলাচল করে।