বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
মাদারীপুর: ভেঙ্গে যাওয়া সংসার আবার জোড়া দিলেন মাদারীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। সোমবার রাতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে মিলন ও সুমির পুনঃরায় বিয়ে দেন তিনি। মাদারীপুর আদালত প্রাঙ্গণে বিয়েটি হয়েছে।
তখন উপস্থিত মাদারীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিংসহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবীসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ বলেন, আদালত চলাকালে আমি জবানবন্দি নিচ্ছিলাম, তখন দেখলাম একটি শিশু এজলাসের ভেতরে দৌড়াদৌড়ি করছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা শিশুটিকে বের করে দিচ্ছিল। আমি বললাম, শিশুটি ওর মতো করে থাকুক এবং জানতে চাইলাম এই শিশুটি কার? তখন জানতে পারলাম চলমান মামলার বাদী ও আসামির ছেলে। তখন বিষয়টি আমার কাছে অন্যরকম মনে হয় এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে আমি বাদী ও আসামিকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কি বর্তমান অবস্থায় সংসার করতে রাজি আছেন? তখন উভয় পক্ষ সংসার করতে রাজি আছেন বলে আমাকে জানান।’
ঐ দিন আদালতের কাজ শেষ করে মামলার দুই আইনজীবী, বাদী ও বিবাদী পক্ষের লোকজনসহ আমার চেম্বারে বসে পুরো ঘটনা শুনলাম। তখন আমার মনে হলো দু্জনের সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে সংসার হচ্ছে না। উভয় পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বললাম। এরপর মিলন ও সুমি পুনরায় সংসার করতে রাজি হলো। তবে পুনরায় বিয়ের বিষয়টি গ্রামের মানুষ ভালোভাবে নেবে না বলে উভয় পরিবারের সদস্যরা বলল। তখন আমি বললাম আপনাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি আমরা আদালত প্রাঙ্গণে বসে করব।
এখানে জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সব বিচারক, আপনাদের পরিবারের লোকজন ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করব। তাই সোমবার রাতে সবার উপস্থিতিতেই বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করলাম। ভেঙে যাওয়া একটি সংসার পুনরায় একত্রিত করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।