Home ইতিহাস ও ঐতিহ্য দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার দি গ্রেট

দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার দি গ্রেট

আলেকজান্ডার দি গ্রেট

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট’ (Alexander the Great) ছিলেন একজন গ্রীক সম্রাট। সুদূর গ্রীস থেকে একের পর এক দেশ জয় করে তাঁর বাহিনী মিশর থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারত পর্যন্ত এক বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। তিনি একজন অন্যতম সফল সেনা নায়ক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছেন। মাত্র ৩২ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি গঠন করেছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম সাম্রাজ্য।

প্রাচীন গ্রীসের ম্যাসিডন (Macedon) রাজ্যের পেল্লা (Pella) নামক স্থানে ৩৫৬ খ্রীস্টপূর্বাব্দের ২০ জুলাই মহান গ্রীক সম্রাট তৃতীয় আলেকজান্ডারের (Alexander lll) জন্ম হয়। তাঁর বাবা ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ (Philip ll)। দ্বিতীয় ফিলিপ ছিলেন অসম্ভব বিচক্ষণ এবং বীর যোদ্ধা। মা ছিলেন রানী অলিম্পিয়া (Olympias)। অলিম্পিয়া ছিলেন উচ্চাভিলাষী। আলেকজান্ডারের জন্মের ফলে তিনি ফিলিপের প্রধানা পত্নী হয়ে ওঠেন। আলেকজান্ডারের জীবনে তাঁর মায়ের যথেষ্ট প্রভাব ছিল।

তৃতীয় আলেকজান্ডার যখন সবে দশ বছর, বাবা দ্বিতীয় ফিলিপ অবাক বিস্ময়ে দেখেছিলেন কিভাবে তাঁর ছেলে ঐ বয়সেই দুরন্ত ঘোড়াকে পোষ মানাচ্ছে অনায়াসে। সেই দিন উনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন- “এই ছেলের শুধুই ম্যাসিডনে মন ভরবে না।” আলেকজান্ডার লিওনিদাস (Leonidas)-এর কাছে শরীরশিক্ষা পান। ঘোড়ায়চড়া, শিকারে যাওয়া, যুদ্ধ করা এবং শরীরচর্চা সবেতেই তিনি পারদর্শী হয়ে ওঠেন। রাজা ফিলিপ  জগৎবিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক আ্যরিস্টটলকে (Aristotle) নিযুক্ত করেছিলেন আলেকজান্ডারের শিক্ষক হিসাবে। আলেকজান্ডারের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ফিলিপ অ্যারিস্টটলের শহর স্ত্যাগেইরা (Stageira) পুনর্নির্মাণ করে দেন। আলেকজান্ডারের সঙ্গে অন্যান্য সম্ভ্রান্ত পরিবারের কিশোররাও শিক্ষা লাভ করত অ্যারিস্টটলের কাছে। অ্যারিস্টটল তাদের চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শন, নীতি, ধর্ম, তর্কবিদ্যা ও কলা সম্বন্ধে শিক্ষা দান করতেন। ১৬ বছর বয়সে আ্যরিস্টটলের কাছে তাঁর শিক্ষাগ্রহণ সম্পুর্ণ হয়।

এরপর আলেকজান্ডার যোগ দেন দ্বিতীয় ফিলিপের সামরিক বাহিনীতেএবং বিভিন্ন যুদ্ধে তিনি তাঁর সাহসিকতা, বীরত্ব এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচয় রাখেন। সেই সময় গ্রীস অনেকগুলো ছোট ছোট নগররাষ্ট্রে বিভক্ত ছিল। আলেকজান্ডারের যখন ষোলো বছর বয়স তাঁর বাবা ফিলিপ তাঁকে দায়িত্ব দেন প্রতিবেশী রাজ্য থ্রেস আক্রমণ করে সেখানে ম্যাসিডনীয় শাসন কায়েম করার। যুবক আলেকজান্ডারকে থ্রেসীয় সৈন্যরা ধর্তব্যের মধ্যেই প্রথমে রাখেনি। কিন্তু আলেকজান্ডার প্রবল পরাক্রমের সাথে সামরিক বল প্রয়োগ করে থ্রেস জয় করে নেন এবং সেই রাজ্যের নাম দেন০ আলেকজান্দ্রোপলিস। মাত্র আঠারো বছর বয়সেই আলেকজান্ডার এতটাই পরাক্রমী হয়ে ওঠেন যে সমগ্র গ্রীসে ট্রয় যুদ্ধের নায়ক অ্যাকিলিসের সাথে তুলনা শুরু হয়ে যায়। ক্রমে পরাক্রমশালী পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য স্পার্টানরা ছাড়া বাকি সবাই জোটবদ্ধ হয়ে তখন সম্মিলিত বাহিনী গঠন করে। দ্বিতীয় ফিলিপ ছিলেন সেই সম্মিলিত বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার (Supreme Commander)। তাঁর একক সামরিক প্রচেষ্টাতেই বিবাদমান নগর রাষ্ট্রগুলোকে একই শাসনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছিল। পারস্য জয় করা ছিল ফিলিপের একান্ত বাসনা। কিন্তু পারস্য অভিযানের আগেই ৩৩৬ খ্রীস্টপূর্বাব্দে দ্বিতীয় ফিলিপ তাঁর মেয়ের বিবাহ আসরে আততায়ীর হাতে খুন হয়ে যান। জনশ্রুতি বলে দ্বিতীয় ফিলিপ তাঁর স্ত্রী অলিম্পাস এবং পুত্র আলেকজান্ডারের চক্রান্তেই খুন হয়েছেন যেহেতু অলিম্পাস দ্বিতীয় ফিলিপের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ও তাঁর নতুন স্ত্রী ক্লিওপেট্রা ইউরিডাইসকে নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন এবং আলেকজান্ডার দ্বিতীয় ফিলিপের উত্তরাধিকার হিসেবেও ততটা যোগ্য নন যেহেতু তিনি রক্তে সম্পূর্ণ ম্যাসিডনীয় ছিলেন না।

দ্বিতীয় ফিলিপের হত্যার সময় আলেকজান্ডারের বয়স ছিল মাত্র কুড়ি বছর। ম্যাসিডোনিয়ার সম্ভ্রান্তশ্রেণী ও সেনাবাহিনীর সমর্থনে  ৩৩৬  খ্রীস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার ম্যাসিডোনিয়ার সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসার পর আলেকজান্ডার  মাত্র ১৩ বছর জীবিত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি জয় করেন পারস্য, মিশর, ব্যবিলন ও ভারতের পাঞ্জাব। দ্বিতীয় ফিলিপের মৃত্যুর পর  গ্রীসের নগররাষ্ট্রগুলোর অধিকাংশই তরুণ আলেকজান্ডারের নেতৃত্ব মেনে নিতে চায়নি। আলেকজান্ডার  বুঝতে পারেন বিবাদমান নগর রাষ্ট্রগুলোকে একক শাসনে আনতে না পারলে তাঁর বাবার পারস্য জয়ের স্বপ্ন কখনোই পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই আলেকজান্ডার প্রথমে প্রতিপক্ষ শক্তিগুলোর বিদ্রোহ দমন করেন। পরে সম্মিলিত বাহিনী গঠন করেন পারস্য অভিযানের জন্য। আলেকজান্ডারের পদাতিক সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮ হাজার আর অশ্বারোহী সৈন্য ছিল ৬,১০০। এছাড়া তাঁর ১২০ টি জাহাজে ছিল ৩৮ হাজার নাবিক ও মাঝি মাল্লা।

পারস্য অভিযানের আগে  আলেকজান্ডার অভিযান চালান বলকান অঞ্চলে যার ফলে পারস্য প্রবেশের পথ সুগম হয়। পারস্য জয়ের জন্য বেশ কয়েকটি যুদ্ধ জেতার পর আলেকজান্ডার মিশর দখলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। মিশর তখন পারস্য সাম্রাজ্যের  অংশ ছিল। মিশরের অধিকাংশ শহর আত্মসমর্পণ করে। আলেকজান্ডার জেরুজালেম শহরের কোন ক্ষতি না করে দক্ষিণ মিশরের দিকে যাত্রা করেন। কিন্তু গাজায় (Gaza) শক্তিশালী বাধার সম্মুখীন হন আলেকজান্ডার। গাজা জয় করার পর নির্বিচারে পুরুষদের হত্যা ও নারী এবং শিশুদের দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। টায়ারের (Tyre) পরিণতিও হয়েছিল গাজার মতই। ৩৩২ খ্রীস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার মিশরে পৌঁছালে তাঁকে মিশরের নতুন ফারাও ঘোষণা করা হয়। মিশরে থাকার সময় তিনি আলেকজান্দ্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর শুরু হয় পারস্যের বিরুদ্ধে তাঁর মূল অভিযান। বেশ কয়েকটি যুদ্ধের পর ৩৩১ খ্রীস্টপূর্বাব্দে বিখ্যাত গগোমেলার যুদ্ধে (battle of gaugamela) পারস্যের রাজা তৃতীয় দারিয়ুস (Darius lll) চূড়ান্তভাবে পরাজিত হন আলেকজান্ডারের কাছে। পরাজিত দারিয়ুস সাম্রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যান এবং পরবর্তী সময়ে নিজের সেনাপতিরাই তাঁকে হত্যা করে। দারিয়ুসের মৃত্যুর পর আলেকজান্ডার রাজোচিত মর্যাদা সহকারে তাঁকে সমাধিস্থ করেন।

পারস্য বিজয়ের পর ৩২৭ খ্রীস্টপূর্বাব্দে হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সে সময় উত্তর-পশ্চিম ভারত অনেকগুলো পরস্পর বিবাদমান ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। প্রথমে আলেকজান্ডার পুষ্কলাবতীর রাজা অষ্টককে, তারপর অশ্বক জাতিকে পরাজিত করেন। অন্যদিকে তক্ষশীলার রাজা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু ঝিলমের রাজা পুরু তাঁর বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাজিত ও বন্দী হন। ইতিহাসে এই যুদ্ধ ‘হিদাস্পিসের যুদ্ধ’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। এই যুদ্ধে পুরুর প্রবল পরাক্রম দেখে আলেকজান্ডার মুগ্ধ হয়েছিলেন ভীষণভাবে। কিন্তু পুরুর ক্রমাগত আক্রমণ দেখে আলেকজান্ডারের মনে এই ধারণা জন্মায় পুরু প্রাণ দিতে রাজী কিন্তু বশ্যতা কোনমতেই স্বীকার করবেন না। পুরুর মত এরকম অসমসাহসী বীরের প্রাণ রক্ষার জন্য তিনি দূত পাঠিয়ে পুরুকে বশ্যতা স্বীকারের প্রস্তাব দেন। অপমানিত পুরু এই প্রস্তাবে এতই ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন যে প্রবল রাগে আলেকজান্ডারকে লক্ষ্য করেই বর্শা ছুঁড়ে মারেন। আলেকজান্ডার কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি। তিনি বারে বারে দূত পাঠিয়ে বশ্যতা স্বীকারের প্রস্তাব দিতে থাকেন। শেষে পুরুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেরোস পুরুকে অ্যালেকজান্ডারের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা বলেন। ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পুরু অবশেষে হাতি থেকে নেমে জল পান করে আলেকজান্ডারের কাছে যান। পুরুকে এগিয়ে আসতে দেখে আলেকজান্ডার নিজে এগিয়ে এসে তাঁকে অভিবাদন জানান এবং তাঁর সাথে বশ্যতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বন্দী পুরুরাজকে আলেকজান্ডার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কি রকম ব্যবহার প্রত্যাশা করেন? জবাবে রাজা পুরু জানিয়েছিলেন, একজন রাজার প্রতি আরেকজন রাজার যেরকম মর্যাদাপূর্ণ ব্যবহার হওয়া উচিত তিনি সেই ব্যবহার প্রত্যাশা করেন। এই উত্তরে আলেকজান্ডার বন্দী পুরুরাজকে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং তাঁর রাজত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষে প্রায় ১৯ মাস ছিলেন আলেকজান্ডার। বিপাশা নদী পর্যন্ত তিনি অগ্রসর হয়েছিলেন। এখানে তিনি ‘নিকাসিয়া’ এবং তাঁর প্রিয় ঘোড়া যে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিয়েছিল সেই ‘আলেকজান্ডার বুসিফেলাস’এর নামে দুটি নগরীর পত্তন করেছিলেন।

কিন্তু এই সময় দীর্ঘদিন মাতৃভূমির বাইরে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনী দেশে ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছিল। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ফিরে গেলেন পাঞ্জাব থেকে। ঝিলাম ও সিন্ধু নদের অন্তর্বর্তী সব রাজ্য তাঁর অধীনস্থ হয়েছিল। গ্রীসে ফিরে যাবার সময়‌ ব্যাবিলনে দ্বিতীয় নেবুচাডনেজারের (Nebuchadnezzar) প্রাসাদে থাকাকালীন ৩২৩ খ্রীস্টপূর্বাব্দে ১৩ জুন আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর আলেকজান্ডারের সাম্রাজ্য তাঁর ৭ জন সেনাপতি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। ভারত পড়েছিল সেনাপতি সেলুকাসের ভাগে। তবে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উত্থানের কারণে ভারতবর্ষে গ্রিক শাসন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

সাম্রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি আলেকজান্ডার বিভিন্ন দেশ জয় করে সেই সমস্ত দেশগুলিতে নানান সংস্কার সাধন করেছিলেন। তবে আলেকজান্ডারের অর্থনৈতিক সংস্কার বিভিন্ন কারণে কিছুটা ব্যর্থ হয়েছিল। তিনি এথেন্সে রুপোর মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন।

আলেকজান্ডারের মৃত্যুর ব্যাপারে দুটি মত প্রচলিত। প্রথমটি হল, ম্যালেরিয়া এবং দ্বিতীয়টি হল, ভেরাট্রাম অ্যালবাম (Veratrum album) নামের উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত বিষ প্রয়োগে মৃত্যু। তবে প্রথমটির পক্ষেই বেশি সমর্থন পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে আলেকজান্ডার দুই সপ্তাহের মত শয্যাশায়ী ছিলেন।

আলেকজান্ডারের শেষ তিনটে ইচ্ছে নিয়ে একটি কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। মৃত্যুশয্যায় তিনি তাঁর সেনাপতিদের জানিয়েছিলেন মৃত্যুর পরে যেন তাঁর তিনটি ইচ্ছে পূরণ করা হয়। প্রথমত, শুধুমাত্র চিকিৎসকরা যেন তাঁর কফিন বহন করে। দ্বিতীয়ত, যে পথ দিয়ে তাঁর কফিন যাবে সেই পথে কোষাগারে সংরক্ষিত সোনা, রুপো ও অন্যান্য মূল্যবান পাথর ছড়িয়ে দিতে হবে। এবং তৃতীয়ত, কফিন বহনের সময় তাঁর হাত দুটো যেন কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই তিনটি ইচ্ছার মাধ্যমে তিনি মানব জীবনের তিনটি সত্যকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে বলেছিলেন এ কারণে যে, যাতে লোকে অনুধাবন করতে পারে চিকিৎসকরা আসলে কোনো মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারেন না। মৃত্যুর সামনে তাঁরা ক্ষমতাহীন। কবরস্থানের পথে সোনা-দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছিলেন কারণ মানুষকে এটা বোঝাতে যে, ওই সোনা-দানার একটা কণাও মৃত ব্যক্তির সঙ্গে যাবে না। কফিনের বাইরে হাত ঝুলিয়ে রাখতে বলেছিলেন মানুষকে এটা জানাতে যে, খালি হাতে মানুষ এই পৃথিবীতে আসে আবার খালি হাতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।