Home স্বাস্থ্য কাঁচা বাদাম খেলে কি কি হয় জানেন

কাঁচা বাদাম খেলে কি কি হয় জানেন

কাঁচা না ভাজা বাদাম কোনটা বেশি উপকারি, এটি নিয়ে অনেকে দ্বন্দ্বে ভোগেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে কাঁচা বাদামের গুণের কোনও তুলনা হয় না। কাঁচা বাদামের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা ৩, ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন-ই। হাড় গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করেন বাদাম। এ ছাড়া ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভালো এই কাঁচা বাদাম।বলিরেখা রোধ করে। ত্বক ও চুল ভাল রাখবে।

কাঁচা বাদামের উপকারিতা:

১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

গবেষকরা বলছেন, যারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খান, তাদের শরীরে পুষ্টিকর উপাদান প্রবেশের কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কাঁচা বাদাম হাড় শক্তিশারী করে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, সেই সঙ্গে ক্যান্সারের আশঙ্কাও দূর করে। কাঁচা বাদামে থাকে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিনের মতো নানা উপাদান থাকে যার ফলে রোজ যদি অল্প করে কাঁচা বাদাম খাওয়া যায়, তা হলে শরীরের কর্মক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। তবে কাঁচা বাদামে অনেক সময় কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

২) রক্তস্বল্পতার সমস্যা প্রতিরোধ করে

প্রতিদিন চিনাবাদাম খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়। এর ফলে শরীরে রক্তের অভাব দূর হয় এবং রক্ত ​​চলাচল ভালো হয়, ফলে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ হয়। চিনাবাদাম ফাইবার সমৃদ্ধ। ভিজে গেলে এর বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি পায়। এটি হজম প্রক্রিয়াও ঠিক করে। পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম ইত্যাদির মতো অনেক পুষ্টি উপাদান চিনাবাদামে পাওয়া যায়। এটি ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।

) ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে

প্রতিদিন ভেজানো চিনাবাদাম খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ডায়াবেটিসের মতো দুরারোগ্য রোগ প্রতিরোধ হয়। অন্যদিকে, সুগারের রোগীরা যদি নিয়মিত সকালে পঞ্চাশ গ্রাম চিনাবাদাম খান, তাহলে অনেক উপশম পাবেন।

) জয়েন্ট এবং পিঠের ব্যথা উপশম

শীতকালে গুড়ের সঙ্গে ভেজানো চিনাবাদাম খেলে জয়েন্ট ও কোমর ব্যথার সমস্যা দূর হয়। এটি শরীরে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। এমন পরিস্থিতিতে বাতের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। ভেজানো চিনাবাদাম দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এটি শারীরিক শক্তি এবং প্রাণশক্তিও বজায় রাখে।