Home Second Lead ফারদিন: মাদক কারবারিদের ভুল টার্গেটের বলি?

ফারদিন: মাদক কারবারিদের ভুল টার্গেটের বলি?

ফারদিন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৩)কে মাদাক কারবারিরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া বস্তিতে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স ভেবে তাকে হত্যা করা হয়বলে জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র।

সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডে বস্তির ১০ থেকে ১২ মাদক কারবারি সরাসরি অংশ নিয়েছে। তাদের প্রায় সবাইকে আটকের পর হত্যার কারণসহ নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী পুলিশের একটি সংস্থা। দুই-এক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে ওই সংস্থাটি। তবে ফারদিন কেন ওই বস্তিতে গেলেন, কে তাকে নিয়ে গেছে বা কোনো ফাঁদ পেতে নিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।ফারদিনের মাদক সেবনের কোনো তথ্য পায়নি তদন্তকারী পুলিশের কোনো সংস্থাই।

তদন্তকারী একটি সংস্থার গোয়েন্দা শাখার শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, ফারদিনকে যে চনপাড়া বস্তিতেই হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত ৪ নভেম্বর রাত দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়। ফারদিন মাদক কারবারিদের ভুল টার্গেটের শিকার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স ভেবে বেধড়ক পিটানোর পর মৃত্যু হয় তার। পরে লাশ ফেলে দেওয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে। পুরো কিলিং মিশন ও লাশ গুমের ঘটনায় মোট ১০ থেকে ১২ জন অংশ নিয়েছিল যাদের সবাকেই আটক করা হয়েছে। তাদের সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে বস্তির চিহ্নিত মাদক কারবারি রায়হানের বাড়ির কাছে ঘটে ফারদিন হত্যাকাণ্ড। সেখান থেকে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারে লাশ তুলে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।  হত্যাকাণ্ডে ১০ থেকে ১২ জন অংশ নিলেও ওই চক্রে রয়েছে প্রায় ২০০ মাদক কারবারি। তারা মাদক বিক্রির পাশাপাশি পুরো এলাকা পাহারা দেয়। বিশেষ করে রাতে তাদের পাহারা থাকে জোরালো। সন্দেহভাজন কেউ বস্তিতে ঢুকলে তার আর নিস্তার নেই বলেও তদন্তে উঠে আসে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনায় এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন রাজধানীর রামপুরা থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ৯ নভেম্বর রাতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হন বুশরা। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে রিমান্ডে আছেন। তবে ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে ডিবি জানিয়েছে।