বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় সোয়া তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলামকে তার উত্তরার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। একই সময় (রাত প্রায় সোয়া ৩টার দিকে) সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসকেও তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মধ্যরাতে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন শেষে বাসায় ফেরেন মির্জা আব্বাস। বাসায় যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুই মাঠ পরিদর্শন করেছি। আগামী ১০ ডিসেম্বর যেকোনো মূল্যে সমাবেশ হবে। সারাদেশের নেতাকর্মীদের দ্রুতই সমাবেশের স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধিদল ডিএমপি সদর দফতরে যান। পরে তারা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তারা।
আফরোজা আব্বাসের অভিযোগ, সমাবেশের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে বাসায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন মির্জা আব্বাস। পরে নেতারা বাসা থেকে বের হয়ে গেলে সাদা পোশাকের পুলিশ একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যায়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তাদের বললাম আপনারা এসেছেন কেন, তারা বলেছেন উপরের নির্দেশে এসেছি। তাদের একটই কথা উপরের নির্দেশে নিয়ে যাচ্ছি। কার নির্দেশে নিয়ে যাচ্ছে এটাতো বলেনি।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল রাতেই বাসায় এসেছেন। শরীর বেশ খারাপ। যে কাপড়-চোপড় পরা ছিলেন সেভাবেই এসে ঘুমিয়ে গেছেন।
কয়টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নে রাহাত আরা বেগম বলেন, ওরা আসছে রাত ৩টায়। সাড়ে ৩টার মধ্যে বের হয়ে গেছে। চার-পাঁচটা গাড়ি নিয়ে রাত ১০টা থেকেই ওরা নাকি এখানে টহল দিচ্ছে। আগে থেকেই হয়তো তাদের গ্রেফতার করার পরিকল্পনা ছিল। রাত ৩টার দিকে দরজা খুলতে বলে। রাস্তার আলো বন্ধ করে দিয়েছে।
ফখরুলকে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো যোগাযোগ হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ওষুধ নিতে আসছিল। ওষুধটা নিয়ে চলে গেছে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নিয়ে বেশ ক’দিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল। এরমধ্যেই বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।