বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ম্যাচ জিতেছে ফ্রান্স। মন জিতেছে মরক্কো । বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের নির্যাস এটাই।
বড় দল কোনও এক অখ্যাতের কাছে হারলেই বলা হয় অঘটন। আর্জেন্টিনাকে হারানো সৌদি, জার্মানিকে হারানো জাপানের বেলাতেও বলা হয়েছিল। যেই জাপান স্পেনকেও দুর্মুশ করল, ওমনি সেসব থেমে গেল। কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে হারিয়ে দিল, তখনও কেউ কেউ ভাসিয়ে দিয়েছিলেন শব্দটা—অঘটন। কিন্তু সেমিফাইনালে মরক্কো দেখিয়ে দিল হার না মানা লড়াইয়ের আফ্রিকান ডিএনএ নিয়েই তারা এসেছে কাতারে।
৯০ মিনিটের খেলা শেষে স্কোর শিটে হয়তো ফ্রান্স ২ আর মরক্কো ০। কিন্তু মন? ১৯৯০ সালের রজার মিল্লার ক্যামেরুনের কথা আজও রূপকথার মতো শোনায়। ২০০২-এ সেনেগাল হৃদয় জিতে নিয়েছিল। বাইশের বিশ্বকাপে চোয়ালচাপা লড়াই লড়ে সেই কাজটা করল হাকিমিদের মরক্কো।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরে মরক্কো ইঙ্গিত দিয়েছিল লড়াই তারা ছাড়ছে না।
তারপর দ্বিতীয়ার্ধে অধিকাংশ সময়টা মরক্কো এমনই ফুটবল খেলল যে ফ্রান্সকে সাত-আটজন মিলে ডিফেন্স করতে হল। এই দলটায় যদি একজন অভিজ্ঞ ফিনিশার থাকতেন তাহলে ফ্রান্সের জন্য কী অপেক্ষা করে ছিল বলা মুশকিল। ম্যাচের শেষ মিনিটেও মরক্কোর আক্রমণ গোললাইন সেভ করে ফ্রান্স।
ফাইনালে না উঠলেও মরক্কোর কাছে এখনও সুযোগ রয়েছে একটি পালক মুকুটে তোলার। তা হল তৃতীয়স্থান অধিকার। শনিবার সেই ম্যাচে মরক্কো খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।
অসংখ্য আফ্রিকান এসেছিলেন লুসেইলের গ্যালারিতে। লালে লাল হয়ে গিয়েছিল স্টেডিয়াম। মরক্কো হয়তো ফাইনালে যেতে পারেনি, কিন্তু গোটা স্টেডিয়াম কুর্নিশ জানিয়েছে দলটিকে।