Home First Lead চিনে আছড়ে পড়েছে করোনার সুনামি

চিনে আছড়ে পড়েছে করোনার সুনামি

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

করোনার  সুনামি আছড়ে পড়েছে চিনে। সংক্রমণের প্লাবন বইছে যেন। আগে শোনা গিয়েছিল, একদিনে দশ লাখ আক্রান্ত হয়েছে চিনে । যদিও সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি চিন। এখন শোনা যাচ্ছে, সংখ্যাটা লাখে নয়, কোটিতে। এই সপ্তাহেই একদিনে নাকি প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে করোনায়। তবে বেজিং সরকারি ভাবে এই তথ্য জানায়নি। সবটাই গোপন সূত্র মারফৎ খবর মিলেছে।

চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। চিনের জনসংখ্যার প্রায় ১৮ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছিল করোনায়। তবে মৃত্যুর পরিসংখ্যাণ দিতে চায়নি চিনের সরকারি সংস্থা। মার্কিন গোয়েন্দারা খবর দেয়, চিনে প্রায় প্রতিদিন হাজারে হাজারে মৃত্যু হচ্ছে। দেশের শ্মশান ও কবরস্থানগুলিতে ভিড়। হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। থিকথিক করছে ভিড়।

দিন কয়েক আগেই বেজিংয়ের একটি ছবি সামনে এসেছিল, দেখা গেছিল বেডের অভাবে মাটিতে শুয়ে মরণাপন্ন রোগীরা। সেখানেই সিপিআর দেওয়া হচ্ছে তাঁদের! এবার জানা গেল, মৃত্যুও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে, ফলে মর্গগুলিতেও উপচে পড়ছে ভিড়। শ্মশানেও লম্বা লাইন। এসবের মধ্যেই বাজারে চরম সংকট শুরু হয়েছে জ্বরের ওষুধ নিয়ে। প্রতিটা পরিবারেই একাধিক সদস্য আক্রান্ত জ্বরে।

বিশ্বজুড়ে ভাইরোলজিস্টদের দাবি, চিনে করোনার যে প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে তা ওমিক্রনেরই  এক উপপ্রজাতি, নাম বিএফ.৭ (BF.7)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই করোনার এই নতুন প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ ও ‘অতি সংক্রামক’ বলে ঘোষণা করেছে। ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতি বা সাব-ভ্যারিয়্যান্টকে সহজে ভ্যাকসিন দিয়ে কাবু করা যাবে না। মানুষের শরীরে খুব দ্রুত ছড়াতে পারবে এই প্রজাতি এবং শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার প্রতিরোধ শক্তিকেও ভেঙে দিতে পারবে অল্পদিনের মধ্যেই। কাজেই ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও সহজে একে নিকেশ করা যাবে না।

আমেরিকার ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের মত, পরপর তিনটি ওয়েভ সাঙ্ঘাতিক তাণ্ডব করবে চিনে। অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হতে  পারেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে সংক্রমণ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছবে বলেও ভবিষ্যৎবাণী করেছেন চিনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমনও আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনার দাপটে চিনে কম করেও ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমনও অনুমান করা হচ্ছে যে, চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় গোটা বিশ্বে প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ ফের করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।