বাংলাদেশে বিমানবন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার কাজে সহযোগিতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। একই সঙ্গে দেশটি বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন খাতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ, ভারতের নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
সাক্ষাতে বিদ্যমান বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভারতীয় অর্থায়নে (লাইন অব ক্রেডিট) নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ ও পরিচালনায় সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রণয় কুমার ভার্মা।
এ সময় দু’দেশের অ্যাভিয়েশন খাতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বর্তমানে বেবিচকের ১২ কর্মকর্তা ভারতের এলাহাবাদে বেসিক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারস প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ওই প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয়ভার ভারত সরকার বহন করছে। এ সহযোগিতার জন্য বেবিচক চেয়ারম্যান ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল চুক্তি ১৯৭৮ সালে সম্পাদিত হয়। বৈঠকে আলোচনাকালে দু’দেশের বিদ্যমান বিমান চলাচল চুক্তি আধুনিকায়ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আরো বেশি ফ্লাইট চালুর জন্য উভয় দেশের বিমান সংস্থাগুলোকে উৎসাহিত করতে আলোচনা হয়। বিশেষ করে ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।
দু’দেশের সিভিল অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং অ্যাকাডেমির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমইউ) সইয়ের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের আকাশসীমায় এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো সমাধানের ওপর ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
