বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
শারীরিক ভাবে একে অপরের সঙ্গে জোড়া অবস্থায় জন্মেছিল তারা। ১১ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের দুই শিশুকে আলাদা করলেন চিকিৎসকরা। যার জেরে নতুন জীবন পেল ইরাকের যমজ শিশু। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবের রিয়াদে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জটিল এই অস্ত্রোপচারের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিক্যাল কর্মী-সহ মোট ২৭ জন ছিলেন ওই দলে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই দুই শিশুর বুকের নীচের অংশ, যকৃৎ, পিত্তনালী এবং অন্ত্র জোড়া অবস্থায় ছিল। অস্ত্রোপচার করে ধীরে ধীরে তাদের আলাদা করা হয়। প্রসঙ্গত, সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমানের নির্দেশেই এই অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে জানিয়েছে আরব দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সৌদি প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই দুই যমজ শিশুর নাম আলী ও ওমর। মোট ছ’টি পর্যায়ে অস্ত্রোপচারে তাদের আলাদা করা হয়। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে থাকা আবদুল্লা আল-রাবিয়া জানিয়েছেন, “এই ধরনের ঘটনায় যমজ শিশুর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে ৭০ শতাংশ। যেহেতেু শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকে, তাই সব সময় সাফল্য মিলবেই এমন নিশ্চয়তা নেই।” উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে যমজ সন্তানকে নিয়ে রিয়াধে আসেন আলি ও ওমেরের মা-বাবা। এর পরই তাদের ভাল করে পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। খুঁটিয়ে দেখা হয় শরীরের সমস্ত অঙ্গ। শেষে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
১৯৯০ থেকে জোড়া যমজ শিশুকে আলাদা করার এই জটিল অস্ত্রোপচারের প্রযুক্তি সৌদি আরবে নিয়ে আসেন সেখানকার যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমান। গত ৩২ বছরে ২৩টি দেশের ১২৭ জোড়া যমজ শিশুকে আলাদা করার জটিল অস্ত্রোপচার করেছে মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ। সম্প্রতি রিয়াধে ফের একবার সেই অস্ত্রোপচারের পর সৌদি যুবরাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ওই যমজের মা-বাবা। পাশাপাশি, তাঁরা ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্মীদের।
গত বছরই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক বছর আগে থেকেই দেশজুড়ে একাধিক সংস্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সৌদির যুবরাজ। ভারত থেকে সৌদি আরবে যেতে গেলে এখন থেকে আর পুলিশি ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে না। গত বছরই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।